ধ্বংসের পর আল-নুরি মসজিদ। (নিচে) আগের আল-নুরি মসজিদ। ছবি: এএফপি
ধূলিসাৎ হয়ে গেল উত্তর ইরাকের আল-নুরি মসজিদ। ইরাকি সেনার দাবি, সুন্নি সম্প্রদায়ের ওই ধর্মস্থান গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসলামিলক স্টেট (আইএস)-এর জঙ্গিরা। পাশাপাশি, বুধবার জঙ্গিরা আল-হাদবা মসজিদও ভেঙে দিয়েছে বলে ইরাকি সেনা এক বিবৃতিতে দাবি করেছে।
যদিও আইএস-এর পাল্টা অভিযোগ, মসজিদ ভাঙার এই কাজ করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী। চার বছর আগে এই আল-নুরি মসজিদেই আইএস প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদি নিজেকে খলিফা বলে ঘোষণা করেছিলেন।বৃহস্পতিবার ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি দাবি করেছেন, পরাজয় নিশ্চিত দেখে সব কিছু ধ্বংস করছে আইএস জঙ্গিরা। সম্প্রতি মার্কিন ও রুশ সেনার জোড়া হামলায় আরও কোণঠাসা হয়ে পড়েছে তারা। এর পরই আল-নুরি মসজিদ উড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র। মসজিদ ধ্বংসকে ইরাকের পক্ষে এক অপূরণীয় ক্ষতি বলে উল্লেখ করেছেন আবাদি। তাঁর মতে, এই ঘটনা ‘আইএসের পরাজয়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা’।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে গাড়িবোমা বিস্ফোরণে হত ২০, জখম ৫০-এরও বেশি
অন্য দিকে, আইএসের মুখপত্র ‘আমাক’ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত বুধবার মার্কিন বিমান থেকে ফেলা এক বোমার আঘাতে ওই মসজিদটি ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। যদিও এই অভিযোগ মানতে চায়নি মার্কিন সেনা। ওই এলাকায় কোনও বিমান হামলা হয়নি বলে মার্কিন বায়ুসেনার তরফে দাবি করা হয়েছে। মার্কিন সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল জোসেফ মার্টিন জানিয়েছেন, আইএস ইরাক এবং মসুলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ধ্বংস করল। এটা মসুল এবং সমগ্র ইরাকবাসীর বিরুদ্ধে একটি অপরাধ।
উত্তর ইরাকের মসুলের প্রাণকেন্দ্রে এই আল-নুরি মসজিদ। বরাবরই সুন্নি বা ওয়াহাবি সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র এই ধর্মস্থান। ২০১৪-র জুন মাসে এখানেই নিজেকে খলিফা বলে ঘোষণা করেছিলেন আইএস প্রধান বাগদাদি। সুন্নি সম্প্রদায়ভুক্ত আইএস জঙ্গিদের কাছে এর পর থেকে এই মসজিদের গুরুত্ব কয়েক গুণ বেড়ে যায়।