এই অংশেই হামলা চালায় তুরস্কের বাহিনী। ফাইল চিত্র।
মারা গিয়েছেন সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেটস (আইএস)-এর প্রধান আবু হুসেন আল-কুরেশি! শনিবার এমনই দাবি করলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্ডোয়ান। তাঁর এই ঘোষণার পরে পশ্চিম এশিয়া তো বটেই, সারা বিশ্বেই শোরগোল পড়ে যায়।
শনিবার একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এর্ডোয়ান জানান, পড়শি রাষ্ট্র সিরিয়ায় ঢুকে আইএস প্রধানকে হত্যা করেছে তুরস্কের সেনাবাহিনী। তিনি এ-ও জানান, বহুদিন ধরেই আল-কুরেশির গতিবিধির উপর নজর রেখেছিল তাঁর দেশের গোয়েন্দা বিভাগ। তার পরই শুক্রবার পরিকল্পনামাফিক হামলা চালানো হয় আইএস নেতার ঘাঁটিতে।
সিরিয়া প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর সিরিয়ার জান্ডারিতে এই বিশেষ অভিযান চালানো হয়। এমনিতেই সিরিয়ার এই অংশটি তুরস্ক প্রভাবিত বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে তুরস্ক এবং সিরিয়ায় যে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল, তাতে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলির মধ্যে ছিল এই জান্ডারিও। যদিও এর্ডোয়ানের দাবির পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও এই বিষয়ে মুখ খোলেনি আইএস এবং সিরিয়ার সেনাবাহিনী।
২০২২ সালে আইএসের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আল-কুরেশিকে। ২০১৪ সালের পর আইএস প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদির নেতৃত্বে গোটা সিরিয়া এবং ইরাকে প্রভাব বাড়িয়েছিল আইসিস। কিন্তু এক দিকে আমেরিকার মদতপুষ্ট বাহিনীর হামলা অন্য দিকে রুশ প্রভাবিত সিরিয়ার সেনাবাহিনীর প্রভাব বিস্তারের ফলে এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ হারাতে থাকে আইসিস।