হামলা হবে, হুমকি দিয়েছিল আইএস

পড়শি দেশগুলিতে সন্ত্রাস হামলা রোজকার ঘটনা। তাদের নিজেদের সীমান্ত এলাকাও সুন্নি জিহাদিদের দৌলতে যথেষ্ট উপদ্রুত। কিন্তু এত দিন সেই গোলমালের আঁচ পড়েনি ইরানের রাজধানী শহরে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

তেহরান শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৭ ০২:১২
Share:

নিকেশ: আয়াতোল্লা খোমেইনির সমাধিক্ষেত্রে পড়ে রয়েছে এক জঙ্গির দেহ। বুধবার তেহরানে জোড়া হামলায় মৃত্যু হয়েছে বারো জনের। ছবি: এএফপি।

পড়শি দেশগুলিতে সন্ত্রাস হামলা রোজকার ঘটনা। তাদের নিজেদের সীমান্ত এলাকাও সুন্নি জিহাদিদের দৌলতে যথেষ্ট উপদ্রুত। কিন্তু এত দিন সেই গোলমালের আঁচ পড়েনি ইরানের রাজধানী শহরে। আজ ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আইএসের জোড়া হামলার পরে সন্ত্রস্ত তেহরান। অনেক প্রশ্নে বিদ্ধ ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিও।

Advertisement

সদ্য নির্বাচনে জিতে ফের ক্ষমতায় এসেছেন রুহানি। তার মধ্যে এত বড় হামলা দেশবাসীর ভরসার ভিত অনেকটাই নাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইরাক আর সিরিয়ায় আইএস বিরোধী অভিযানে বরাবর মদত দিয়ে এসেছে ইরান সরকার। মসুল, রাকায় ইতিমধ্যেই কোণঠাসা তারা। আর সেই প্রতিশোধ নিতেই আজকের হামলা বলে মত দেশের সরকারি আধিকারিকদের। এই প্রথম আইএস হামলা চালাল ইরানে। শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত এই দেশে যে তারা প্রত্যাঘাত করবে সেই হুমকি মাস খানেক আগে থেকেই দিয়ে আসছিল আইএস।

Advertisement

আজকের হামলার পরে একটি ভিডিও বার্তায় তারা জানিয়েছে, তাদের ‘যোদ্ধারা’ই এই হামলা চালিয়েছে। পার্লামেন্টের ভিতরে রক্তাক্ত নিথর দেহ পড়ে থাকার ছবিও ওই ভিডিওটিতে আপলোড করে দিয়েছে তারা। এক জেহাদিকে আরবি ভাষায় এ-ও বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘হে ঈশ্বর, ধন্যবাদ। তোমরা ভেবেছিলে আমরা চলে যাচ্ছি? না আমরা আছি। ঈশ্বর তা-ই চান।’’

আরও পড়ুন: জোড়া জঙ্গি হানা ইরানে, নিহত ১২, আহত ৩৯

পার্লামেন্টের মতো অতি সুরক্ষিত এলাকায় আজ জঙ্গিরা কী করে ঢুকে পড়ল, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। পার্লামেন্টের প্রবেশদ্বারে অত্যন্ত কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে ইরানে। সেই বেষ্টনি ভেঙে জঙ্গিরা কী ভাবে ঢুকল, রুহানির কাছে তার জবাব চাইছেন বিরোধীরা। তবে নিজে মুখ না খুললেও আজ টুইটারে একটি বিবৃতি দিয়েছেন রুহানির মুখপাত্র। দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রশংসা করে সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘এই হামলা ইউরোপের যে কোনও দেশে হলে হতাহতের সংখ্যা অনেক বাড়ত। সব কৃতিত্বই দেশের পুলিশ আর নিরাপত্তরক্ষীদের।’’

তবে আইএস দায় স্বীকার করলেও গোটা ঘটনায় দেশের সুন্নি জঙ্গি গোষ্ঠীদেরও হাত থাকতে পারে বলে মনে করছেন সরকারি আধিকারিকরা। দেশের মানুষকে রাস্তা-ঘাটে সাবধানে হাঁটা-চলা করার আর্জি জানিয়েছে সরকার। সন্দেহজনক কিছু দেখলেই পুলিশকে খবর দিতে বলা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement