একটি মার্কিন সংগঠনের দাবি— জঙ্গি সংগঠন আইএস বাংলাদেশের বগুড়ার শিয়া মসজিদে কালকের হামলার দায় স্বীকার করেছে। ‘সাইট ইনটেলিজেন্স গ্রুপ’ নামে এই সংগঠনটি জঙ্গিদের ওয়েবসাইটগুলির নজরদার বলে নিজেদের দাবি করে। তবে মার্কিন সংগঠনটির এই দাবি মানছে না বাংলাদেশ পুলিশ। গোয়েন্দা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, দায় স্বীকারের কোনও স্পষ্ট প্রমাণ নেই। এর আগে আইএসের নাম করে কয়েকটি দুষ্কর্মের দায় স্বীকার করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্তে সবগুলিই ভিত্তিহীন বলে প্রমাণিত হয়েছে। যারা এই হুমকি দিয়েছিল তাদের আটকও করা হয়েছে।
ওই গোয়েন্দা কর্তার দাবি, বাংলাদেশে আইএস-এর সংগঠন রয়েছে— এমন কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি। এক মাদ্রাসা ছাত্র-সহ দু’জনকে জেরা করছে পুলিশ। তারা আততায়ীদের সম্পর্কে পুলিশকে জানিয়েছে। পুলিশের কথা অনুযায়ী মোট তিন জন আততায়ী হামলা চালিয়েছে। এক জনের মাথায় টুপি ছিল। বাকি দু’জন চেক শার্ট ও প্যান্ট পরে এসেছিল।
সন্ধ্যায় নমাজের সময়ে বগুড়া শহর থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে শিবগঞ্জে এই শিয়া মসজিদে ঢুকে আততায়ীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে পালিয়ে য়ায়। এই ঘটনায় মসজিদের মুয়াজ্জিন নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হন ইমাম-সহ তিন জন। পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি বিবাদে প্রায়ই রক্ত ঝরলেও বাংলাদেশে এ ধরনের মসজিদে হামলার ঘটনা এই প্রথম। মহরমের আগের রাতে পুরনো ঢাকার হোসেনি দালানে শিয়াদের জমায়েতে বোমা হামলায় দু’জন প্রাণ হারান। বাংলাদেশে শিয়াদের ওপরে সেটাই প্রথম হামলা ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাল শিয়া মসজিদে হামলার নিন্দা করে বলেছেন, ‘‘সাচ্চা মুসলিমরা কখনও মসজিদে হামলা করে না!’’
কযেক দিন আগেই তিনি অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশে আইএস রয়েছে প্রমাণ করার জন্য রাজনৈতিক চক্রান্ত চলছে। সরকারকে হেয় করার পাশাপাশি বাংলাদেশকে জঙ্গি অধ্যুষিত প্রমাণ করার জন্যই বার বার আইএসের নাম তুলে আনা হচ্ছে।