‘খিলাফত’ শেষ, আইসিস হঠিয়ে ইরাকি সেনার দখলে আল নুরি মসজিদ

ইরাকে আইএসকে পুরোপুরি ধ্বংস করার কাজ যে এখনও দূর অস্ত তা মানছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটশক্তি। ইরাকে নিজেদের সামরিক বাহিনী রাখার মেয়াদ ২ বছর বাড়িয়েছে কানাডা। ইরাকে কানাডার প্রায় ২ হাজার কম্যান্ডো রয়েছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মসুল শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৭ ০৩:৪৮
Share:

বিজয়োল্লাস। আইএস-কে হঠিয়ে পুরনো মসুলে ঢুকছে ইরাকি বাহিনী। ছবি: এএফপি।

তিন বছর আগে মসুলের আল নুরি মসজিদ থেকে ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইসলামিক স্টেট (আইএস) নেতা আবু বকর আল বাগদাদি। সেই মসজিদ পুনরুদ্ধার করে আজ ইরাকি সেনা ঘোষণা করে দিল, ‘খিলাফত শেষ’।

Advertisement

ঠিক এক সপ্তাহ আগেই ওই ঐতিহাসিক আল নুরি মসজিদ আর তার উপরের অল্প হেলানো আল হাবদা মিনার ধূলিসাৎ করেছিল আইএস। আমেরিকা ও ইরাক তখন জানিয়েছিল, ওই জঙ্গিগোষ্ঠীর দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। আর সে কথা বুঝতে পেরেই ইতিহাসের সাক্ষী ওই মসজিদ ও মিনার গুঁড়িয়ে দিয়েছে তারা। যদিও আইএস দাবি করেছিল, ওই মসজিদ ও মিনার ধ্বংস করেছে মার্কিন জোটশক্তি। কিন্তু আইএসের দাবি উড়িয়ে দিয়েছিল মার্কিন বাহিনী।

তিন বছর আগে বাগদাদি যখন এই মসজিদে ‘খিলাফত’-এর ডাক দিয়েছিলেন, তখন থেকেই এখানে আইএসের কালো পতাকা উড়ত ওই মিনারে। কিন্তু গত কয়েক মাসে বদলে যায় সেই ছবিটা। মসুল পুনরুদ্ধারের জন্য আইএসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে শুরু করে আমেরিকা সমর্থিত জোটশক্তি। সেই অভিযানের অংশ হিসেবে আল নুরি মসজিদ পুনরুদ্ধার করাই ছিল জোটশক্তির প্রধান লক্ষ্য। তার পরেই আল নুরি পুনরুদ্ধারের জন্য এগোতে শুরু করে ইরাকি সেনা। আর নিজেদের শক্ত ঘাঁটি হারানোর ভয়েই গত বৃহস্পতিবার ওই মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয় আইএস জঙ্গিরা।

Advertisement

আরও পড়ুন:পোপের ঘনিষ্ঠ যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত

এই ঘটনার পরে বিশেষ বাহিনীর মেজর জেনারেল স্যামি আল-আরিদি সতর্কতা জারি করেছিলেন, মসজিদের ধ্বংসস্তূপে বিস্ফোরক রেখে দিয়ে থাকতে পারে জঙ্গিরা। তাই ইঞ্জিনিয়ার দল নিয়েই ওই ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ করতে হবে। তাই খুব ধীরে ধীরেই সে দিকে এগোচ্ছিল সেনা। গত কালই বিস্ফোরক নিয়ে টাইগ্রিস নদী পেরিয়ে শহরের পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল এক আইএস জঙ্গি। সেই সময় তাকে হত্যা করে সেনা।

এর পর আজ ভোর থেকেই ওই মসজিদের পুনর্দখল নিতে এগোতে শুরু করেছিল ইরাকের বিশেষ বাহিনী। দুপুরের দিকে ওই চত্বরে ঢুকে পড়ে আশপাশের রাস্তার দখল নেয় তারা। আর আজকের এই মসজিদ পুনর্দখলই ইরাকি সেনার মসুল জয়ের অন্যতম বড় প্রতীক। ইরাকি সেনার মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া রসুল সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, ইরাকে আইএস জঙ্গিদের যে আধিপত্য, তা ধ্বংস হলো।

তবে ইরাকে আইএসকে পুরোপুরি ধ্বংস করার কাজ যে এখনও দূর অস্ত তা মানছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটশক্তি। আজই ইরাকে নিজেদের সামরিক বাহিনী রাখার মেয়াদ ২ বছর বাড়িয়েছে কানাডা। ইরাকে কানাডার প্রায় ২ হাজার কম্যান্ডো রয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement