হুঁশিয়ারি, পাল্টা হুঁশিয়ারি চলছেই।
রবিবার মাঝরাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট করেছিলেন, ‘‘যুদ্ধ করলে ইরান কিন্তু শেষ।’’ তা হলে উপায়? ট্রাম্পের দাবি, তাঁর বিশ্বাস শীঘ্রই আলোচনার টেবিলে বসতে চাইবে তেহরান। আজ তারই জবাবে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি স্পষ্ট জানালেন, আমেরিকার সঙ্গে এখনই কোনও কথা নয়। ওয়াশিংটনের চাপানো ধারাবাহিক নিষেধাজ্ঞাকে‘অর্থনৈতিক যুদ্ধ’-এর আখ্যা দিয়ে নিজেদেরই আরও শক্তিধর হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন রৌহানি। তাঁর কথায়, ‘‘এটা আলাপ-আলোচনার সময় নয়। এখন রুখে দাঁড়ানোটাই হল আসল কাজ।’’
৭ জুলাইয়ের পরে দেশের উদ্বৃত্ত ইউরেনিয়াম রফতানি বন্ধ করার কথা আগেই বলেছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। তা হলে কি ফের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচির পথেই হাঁটতে চাইছে ইরান? এই নিয়ে জল্পনাও জোরালো। উপসাগরীয় এলাকায় পারদও ক্রমে চড়ছে। যার শুরুটা হয়েছিল এক বছর আগে। ২০১৫-র ইরান পরমাণু চুক্তি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিল আমেরিকা। এবং তখন থেকেই ফের একের পর এক মার্কিন নিষেধাজ্ঞা চাপে তেহরানের উপরে। তার পর গত মার্চে ইরানের
‘রেভোলিউশনারি গার্ডস’ বাহিনীকে ‘সন্ত্রাসবাদী সংগঠন’ আখ্যা দেন ট্রাম্প। দিন পনেরো আগে এরই পাল্টা ইউরেনিয়াম রফতানি বন্ধের হুমকি দেন রৌহানি।
পরিস্থিতি এর পর থেকেই আরও বিগড়ে যায়।
উপসাগরীয় এলাকা জুড়ে বোমারু বিমান, নৌবহর মোতায়েন শুরু করে দেয় আমেরিকা। প্রশ্ন ওঠে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলতে মরিয়া ইরানও এ বার আমেরিকার সঙ্গে সরাসরি সংঘাত চাইছে? এই নিয়ে তেহরানের তরফে সরকারি ভাবে এখনও কেউ তা বলছেন না। তবে আলোচনার সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়ে রৌহানি আজ পাল্টা চাপ বাড়ালেন বলেই মনে করা হচ্ছে।