পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির (বাঁ দিকে), ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি (ডান দিকে)। —ছবি : সংগৃহীত
পাকিস্তান সফরে গিয়ে মঙ্গলবার সে দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। বুধবার পাকিস্তানের মাটি থেকেই ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিলেন ইজ়রায়েলকে!
পাক পঞ্জাবে একটি কর্মসূচিতে রইসি বলেন, ‘‘ইরানের ভূখণ্ডে যদি কোনও ধরনের আগ্রাসন চালানো হয়, তা হলে ইজ়রায়েলের কোনও চিহ্ন থাকবে না।’’ গাজ়ায় প্যালেস্টাইনি গণহত্যা এবং সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে হামলার প্রসঙ্গ তুলেও তেল আভিভকে নিশানা করেন রইসি। বলেন, ‘‘আমরা ওদের সমুচিত জবাব দিয়েছি।’’
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ইরানি দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র হানা চালিয়েছিল ইজরায়েল। তাতে নিহত হয়েছিলেন ইরানের কয়েক জন কূটনীতিক ও সামরিক প্রতিনিধি। তার পর থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়ছে পশ্চিম এশিয়ায়। ইজ়রায়েলি হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল মধ্যরাতে তেল আভিভে প্রায় ২০০টি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান সেনা। যদিও আমেরিকা এবং জর্ডনের মতো দেশের সহায়তায় শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থার সাহায্য প্রায় ৯৯ শতাংশ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিহত করে ইজ়রায়েল। ফলে বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি ঘটেনি। এই পরিস্থিতিতে ইজ়রায়েল ‘প্রত্যাঘাত’ করতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।