স্মৃতি: সমুদ্র থেকে তুলে আনা হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের যাত্রীদের জিনিসপত্র। ছবি: এএফপি।
কাল রাত পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়েও ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ার-এর বিমান জেটি ৬১০-এর ব্ল্যাক বক্স মেলেনি। এখন জাভা সাগরে খোঁজ চালাতে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন। মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার উদ্ধারকারী দল জানিয়েছে, সাগর থেকে উদ্ধার হয়েছে আরও দেহাংশ।
প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে বলা হচ্ছে, সম্ভবত কোনও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই দুঘর্টনার কবলে পড়ে জে টি ৬১০। জাভা সাগরে ভেঙে পড়া বিমানে থাকা ১৮৯ জনই প্রাণ হারিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
বিমান মন্ত্রকের প্রাক্তন নিরাপত্তা আধিকারিক ডেভিড সুসি বলছেন, ‘‘সব চেয়ে অবাক লাগছে, বিমান থেকে কেন জরুরি অবস্থার কথা আগেই ঘোষণা করা হল না? ওরা শুধু জানাল, ফিরে আসছি। তার পরেই হঠাৎ অনেকটা নেমে গেল বিমান।’’
আজ সকাল থেকে তল্লাশির পরে ২৬টি ব্যাগে দেহাংশ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। দলের প্রধান মহম্মদ স্যায়ুগি বলেছেন, শনাক্তকরণের জন্য ওই সব দেহাংশ পাঠানো হচ্ছে জাকার্তায়। মিলেছে একটি শিশুর দেহাংশও। জুতো, কাপড়ের টুকরো, মোবাইলের কভার— এমন নানা সামগ্রী জলের উপরিভাগ থেকে পাওয়া গিয়েছে। তবে এখনও বিমানের মূল অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সাগরের তলায় ধাতব অংশ সহজে খুঁজে পায় এমন উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন পাঁচটি যুদ্ধজাহাজ নামানো হয়েছে। ৩৫টি জাহাজ এবং ৫০ জন ডুবুরি ৪০০ বর্গ নটিক্যাল মাইল চিহ্নিত করে খোঁজ চালাচ্ছে।
আরও অন্তত তিন দিন তল্লাশি চলবে। প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো তল্লাশি অভিযান খতিয়ে দেখেছেন আজ। এসেছেন দেশের পরিবহণমন্ত্রী বু়ডি কারিয়া সুমাডি। বিমান দুর্ঘটনায় প্রিয়জনকে হারিয়ে এখনও অপেক্ষা করছে অনেক পরিবার। এঁদের এক জন নুনি হেস্টি। ৫৩ বছরের এই মা হারিয়েছেন নিজের ছেলে ও নাতিকে। সপ্তাহান্তে বাবা-ছেলে জাকার্তা এসেছিলেন ফুটবল ম্যাচ দেখতে। কাউকেই আর দেখতে পাবেন না— বিশ্বাস করতে পারছেন না নুনি।