হার্নিসের দোকানের সামনে নোটিশ। ছবি: সংগৃহীত
কানসাসের পর এ বার পেনসিলভেনিয়া। ফের মার্কিন মুলুকে খুন হলেন এক ভারতীয়। দক্ষিণ-মধ্য পেনসিলভেনিয়ার ল্যাঙ্কাস্টারে নিজের বাড়ির সামনেই গুলি করে খুন করা হল ভারতীয় ব্যবসায়ী হার্নিশ পটেলকে। আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল হাজার প্রতিবাদ, হোয়াইট হাউজের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস, কোনও কিছুতেই বদলায়নি পরিস্থিতিটা।
বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ। রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন হার্নিশ। সেই সময় বাড়ির সামনেই গুলি করা হয় তাঁকে। গুলির শব্দ পেয়ে তৎক্ষণাৎ ছুটে আসেন স্থানীয় এক মহিলা। কিন্তু ততক্ষণে অপরাধীরা হাওয়া। ওই মহিলাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল থেকে দু’টি গুলির খোল উদ্ধার করা হয়েছে। অপরাধীদের খোঁজে তল্লাশিও চালানো হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকায় উপকারী মানুষ হিসাবে যথেষ্ট পরিচিত ছিলেন হার্নিশ। বাড়ির কাছেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের একটি ছোট দোকান চালাতেন তিনি। হার্নিশের দোকানের কর্মী কেইরা বাস্কিন বলেন, “কর্মচারীদের পরিবারের মতোই দেখতেন হার্নিশ।”
কেন এ ভাবে খুন করা হল হার্নিশকে? এর সঙ্গে মার্কিন মুলুকে হঠাত্ গজিয়ে ওঠা এশীয় বিদ্বেষের সম্পর্ক রয়েছে?
জাতিবিদ্বেষের বিষয়টি অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ঘটনার পর ল্যাঙ্কাস্টারের শেরিফ বারি ফেইল বলেন, ‘‘মনে হয় না এর সঙ্গে জাতিবিদ্বেষের কোনও সম্পর্ক আছে। ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেও খুন হতে পারেন তিনি। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।”
গত ২৪ জানুয়ারি কানসাসের একটি পানশালায় গুলি করে খুন করা হয়েছিল ভারতীয় ইঞ্জিনিয়র শ্রীনিবাস কুচিভোটলাকে। অ্যাডাম পিউরিটন নামে মার্কিন নৌসেনার এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ওই পানশালায় গিয়ে শ্রীনিবাস এবং তাঁর বন্ধু অলোক মাদাসানিকে গুলি করেন। অলোক বেঁচে গেলেও ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শ্রীনিবাসের।