ভিডিয়ো কনফারেন্সে আরসিইপি-র বৈঠক।
সীমান্তে টানাপড়েনের মধ্যেই রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি) নিয়ে নয়াদিল্লিকে নতুন করে খোঁচা দেওয়ার চেষ্টা চিনের। বেজিংয়ের মতে, আরসিইপি-র মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চে যোগ না দেওয়া ভারতের ‘কৌশলগত ভুল’। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম জিনহুয়া-র মতে, দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক উন্নতির ‘বাস ধরতে পারল না’ ভারত।
দীর্ঘ ৮ বছর ধরে আলোচনার পর রবিবার আরসিইপি-তে পাকাপাকি ভাবে যোগ দেওয়ার জন্য চুক্তি করেছে ১৫টি দেশ। ওই মঞ্চের সদস্য হিসাবে চিন ছাড়াও রয়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মতো দেশ। এ ছাড়াও অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশন বা আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত ১০টি দেশও আরসিইপি-র সদস্য।
আরসিইপি-র মূল উদ্দেশ্য, করোনায় সদস্য দেশগুলির অর্থনীতিতে যে ধাক্কা লেগেছে তা মেরামত করা। খাতায়কলমে ওই আন্তর্জাতিক মঞ্চটি এখন দুনিয়ার বৃহত্তম বাণিজ্যিক সংগঠন। জিনহুয়া-র দাবি, পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা এবং জিডিপির ৩০ শতাংশই ওই সংগঠনটির আওতায় পড়ছে।
আরও পড়ুন: কম আসন নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী, নীতীশ কি বিহার বিজেপি-র চক্রব্যূহে অভিমন্যু
আরও পড়ুন: দলের বক্তব্য বলার জন্য বিভিন্ন নেতার সাপ্তাহিক ‘রস্টার’ বেঁধে দিল তৃণমূল
প্রাথমিক ভাবে অবশ্য আরসিইপি নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছিল ভারত। কিন্তু গত বছর ওই আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে সরে দাঁড়ায় নয়াদিল্লি। ভারতের ব্যাখ্যা, চিনা পণ্য সস্তা হওয়ায় ওই চুক্তির জোরে সামগ্রিক ভাবে সবচেয়ে বেশি সুবিধা লুঠবে চিন-ই। ইতিমধ্যেই বেজিংয়ের সঙ্গে বিপুল বাণিজ্য ঘাটতিও রয়েছে বলে যুক্তি তুলে ধরেছে নয়াদিল্লি। এই সমস্যার সমাধান না হলে আরসিইপি-তে যোগ দিতে নারাজ ভারত।