প্যারিসে তুঙ্গে ভারত-পাক স্নায়ুযুদ্ধ

প্যারিসে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনের ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স-এর (এফএটিএফ) বৈঠক। চলবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত।

Advertisement

অগ্নি রায়

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৩২
Share:

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে বহুদূরে এখন চলছে ভারত-পাকিস্তানের স্নায়ুযুদ্ধ। ফল জানা যাবে আগামী শুক্রবার। এখনও পর্যন্ত খবর, কোণঠাসা পাকিস্তান আত্মরক্ষার জন্য প্রবল ভাবে চেষ্টা করে চলেছে!

Advertisement

প্যারিসে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনের ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স-এর (এফএটিএফ) বৈঠক। চলবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত। যেখানে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগে পাকিস্তানকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করতে একটি প্রস্তাব পেশ করেছে আমেরিকা। সূত্রের খবর, এই বিষয়ে ভারতের বিস্তারিত রিপোর্ট এবং উদ্যোগেই এই মার্কিন প্রস্তাব। যাতে এটি কার্যকরী হয় সে জন্য প্রবল ভাবে এফএটিএফের অন্য সদস্য দেশগুলির সঙ্গে দৌত্য এবং আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে নয়াদিল্লি। উল্টো দিকে পাকিস্তানও চিনকে পাশে নিয়ে চেষ্টা করছে এই নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর। বৈঠক শুরু হওয়ার দশ দিন আগে আগাম সতর্কতা হিসাবে মুম্বই হামলার মূল মস্তিষ্ক হাফিজ সইদ এবং তার সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে ইসলামাবাদ। কিন্তু শুধু সেটুকুতেই যাতে তারা পার না পায়, তা নিশ্চিত করতে প্যারিসে সক্রিয় সাউথ ব্লক।

পাকিস্তানের ত্রাসের কারণ, এফএটিএফের সদস্যদের মধ্যে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, রাষ্ট্রপুঞ্জ, ইউরোপীয় কমিশনের শীর্ষ পর্যায়ের সদস্যরা অন্যতম। ফলে এফএটিএফের নজরে পড়লে স্বাভাবিক ভাবেই এই আর্থিক সংস্থাগুলি মুখ ফিরিয়ে নেবে ইসলামাবাদের দিক থেকে।

Advertisement

কূটনৈতিক সূত্রের খবর, প্যারিসে আসার আগে ক্ষত মেরামতির চেষ্টা শুরু করেছে পাকিস্তান। হাফিজ সইদকে নিষিদ্ধ করা তো হয়েছেই। পাশাপাশি পাক প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মিফাৎ ইসমাইল জার্মানি, নেদারল্যান্ড এবং বেলজিয়াম সফর করেছেন গত সপ্তাহে। পাক শক্তিমন্ত্রীকে মালয়েশিয়ায় পাঠানো হয়েছিল। মিফাৎ ইসমাইলই প্যারিসের বৈঠকে পাকিস্তানের পক্ষে সওয়াল করবেন। সূত্রের খবর, এফএটিএফের ৩৫টি স্থায়ী সদস্য দেশের মধ্যে একমাত্র চিনই প্রবল ভাবে পাকিস্তানের পাশে রয়েছে। সম্প্রতি পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়জল বলেছেন, ‘‘এই ধরনের প্রস্তাব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে ব্যাহত করবে।’’ ফয়জলের কথায়, ‘‘সন্ত্রাসবাদ রোখার জন্য পাকিস্তান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাক সেনা যে ভাবে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে তাতে এ কথাই স্পষ্ট।’’

তবে তাঁর দাবিতে যে চিঁড়ে বিশেষ ভেজেনি তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র হিদার নোরেটের বক্তব্যে। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের আর্থিক মদতের পরিপ্রেক্ষিতে সে দেশকে ‘ওয়াচ-লিস্ট’-এর অন্তর্ভূক্ত করার সওয়াল করে তিনি জানান, ‘‘বাকিটা খুবই গোপনীয়। বৈঠক শেষ হওয়ার আগে এ ব্যাপারে কিছু ফাঁস করা যাবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement