প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ভ্লাদিমির পুতিন। —ফাইল চিত্র।
ইউক্রেনে শান্তি ফেরানো নিয়ে সুইৎজ়ারল্যান্ডে হওয়া বৈঠকের শেষে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে সই না করে রাশিয়াকে বার্তা দিল ভারত। কূটনৈতিক শিবিরের মতে, মোদী সরকারের তৃতীয় ইনিংসের শুরুতেই এটা স্পষ্ট করে দেওয়া হল, পশ্চিমের যতই চাপ থাকুক না কেন, মস্কোর হাত ছাড়বে না নয়াদিল্লি। অশোধিত তেল আমদানিও বন্ধ করা হবে না।
এই শান্তি আলোচনায় রাশিয়া আমন্ত্রিত হয়নি। ভারতও শীর্ষ পর্যায়ে এই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করল না। অথচ আমন্ত্রণ ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। এই বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন বিদেশ মন্ত্রকের সচিব (পশ্চিম) পবন কপূর। পবন বলেছেন, ‘‘আমরা বিশ্বাস করি, দু’পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধানই স্থায়ী শান্তি আনতে পারে। তাই আমরা যৌথ বিবৃতিতে সই করিনি।’’
সূত্রের বক্তব্য, দেশের ৬০ শতাংশ সামরিক সরঞ্জামের জন্য রাশিয়ার উপরে নির্ভরশীল ভারত। ২০২২ সাল থেকেই ভারত রাশিয়ার ইউক্রেনের উপরে একতরফা আক্রমণের বিরোধিতায় মুখর হয়নি। বরং আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে তেল, সার কিনে গিয়েছে। পরে মোদী দাবি করেছিলেন যে, ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাতে রুশ প্রেসিডেন্টের ‘চোখে চোখ রেখে’ তিনি বলেছেন, ‘‘এটা যুদ্ধের সময় নয়।’’
সুইৎজ়ারল্যান্ডের শান্তি বৈঠককে রাশিয়াও ‘সময় নষ্ট’ বলে কটাক্ষ করেছে। যৌথ বিবৃতিতে ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, তাইল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও সই করেনি।