ডোকলাম। ফাইল চিত্র।
৮ বছর আগে বেজিং কাশ্মীরের জন্য পৃথক ভিসা দেওয়া শুরু করার পর থেকে শঠে শাঠ্যং রণনীতি নিয়েছিল দিল্লি। তাইওয়ান তাস খেলে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক নথিতে ‘এক-চিন নীতি’র কথা উহ্য রাখতে শুরু করে ভারত।
কিন্তু ডোকলাম কাণ্ডের পরে সুর নরম করেছে মোদী সরকার। যার হাতেনাতে ফল হিসেবে দেখা যাচ্ছে, এয়ার ইন্ডিয়ার তাইওয়ানগামী উড়ানের নাম বদলে ‘চিনা তাইপেই’ রাখা হয়েছে। এই পদক্ষেপে উল্লসিত চিন। পাশাপাশি, সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে বিদেশ মন্ত্রকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে দিল্লিতে অবস্থিত তাইওয়ানের ‘ইকনমিক অ্যান্ড কালচারাল সেন্টার’। তাদের বক্তব্য, এই সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে চিনের ‘অযৌক্তিক’ চাপের কাছে নতি স্বীকার করছে ভারত। আর চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লু কাং বলেন, ‘‘তাইওয়ান চিনের অংশ। এয়ার ইন্ডিয়া সেটিকেই মান্যতা দিয়েছে। আমরা পদক্ষেপটিকে সমর্থন করছি।’’
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশকুমারের কথায়, ‘‘ভারতের এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক নিয়ম ও নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ১৯৪৯ সাল থেকেই আমরা এটা মেনে চলছি।’’ প্রশ্ন উঠছে, ’৪৯ সাল থেকেই এই নীতি যদি মেনে চলা হবে, তা হলে ২০১০ সালের পর থেকে চিনের অনুরোধ সত্ত্বেও ‘এক-চিন নীতি’র বিষয়টি কোনও যৌথ বিবৃতিতে রাখা হয়নি কেন? স্পষ্ট উত্তর দেয়নি সাউথ ব্লক।