জইশের সঙ্গে কে কথা বলল? প্রশ্নে বিব্রত পাক বিদেশমন্ত্রী

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপি কনভয়ে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় ৪৯ জন নিহত হয়েছিলেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৯ ০২:১৭
Share:

শাহ মেহমুদ কুরেশি

পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের যোগাযোগ রয়েছে— এমনই তথ্য সামনে এসেছে পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির সৌজন্যে। সরকারের তরফে কে ওই জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন? প্রশ্নে মুখে দৃশ্যত বিব্রত পাক বিদেশমন্ত্রী। উত্তর দিতে গিয়ে তাঁর কথা জড়িয়ে যায়, রীতিমতো এলোমেলো কথা বলতে শুরু করেন তিনি।

Advertisement

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপি কনভয়ে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় ৪৯ জন নিহত হয়েছিলেন। সম্প্রতি একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে কুরেশির সাক্ষাৎকারে পুলওয়ামার প্রসঙ্গও উঠেছিল। যিনি সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন, তিনি বলেন, জইশ ওই নাশকতার দায় স্বীকার করেছে। সে সময় পাক বিদেশমন্ত্রী তাঁকে থামিয়ে বলেন, ‘‘আমরা এ ব্যাপারে নিশ্চিত নই।’’ ওই সাংবাদিক তাঁকে ফের বলেন, ‘‘আপনি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারেন, পাকিস্তানে জইশ-ই-মহম্মদের কোনও ঘাঁটি নেই? কিন্তু ওরা তো এই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে!’’

পাক বিদেশমন্ত্রীর জবাব, ‘‘ওরা করেনি... এ ব্যাপারে ধন্দ রয়েছে। ওদের (জইশ) নেতৃত্বের সঙ্গে যখন যোগাযোগ করা হয়েছিল, তখন ওরা জানায়, ওই কাজ করেনি।’’

Advertisement

কুরেশির ওই উত্তরের পরেই পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘জইশ নেতৃত্বের সঙ্গে কে যোগাযোগ করেছিলেন?’’

দেখুন সাক্ষাত্কারের সেই ভিডিয়ো।

আরও পড়ুন: গণভোট নয় স্বশাসন, কাশ্মীরের ‘সমাধান’ দিলেন চিদম্বরম​

আরও পড়ুন: একটা ছবি থামিয়ে দিয়েছিল ২০ বছর ধরে চলতে থাকা একটা গোটা যুদ্ধ​

ওই প্রশ্নেই দৃশ্যত অস্বস্তিতে পাক বিদেশমন্ত্রী। উত্তর দিতে গিয়ে তাঁর কথা জড়িয়ে যায়, তিনি বলতে থাকেন, ‘‘কে... কে বলেছিলেন... ওখানকার মানুষই... তাঁরাই বলেছেন যে... তারাই অস্বীকার করেছেন... সেখান থেকেই তো অনিশ্চয়তা তৈরি হল!’’ এর পর আর কোনও কথাই খুঁজে পাচ্ছিলেন না কুরেশি। বলেন, ‘‘আসলে মানুষই বলেছে, মানে, যাঁরা ওদের চেনেন, তাঁরাই তো বললেন, হামলায় ওদের কোনও ভূমিকা নেই।’’

দিন কয়েক আগে এই কুরেশি জানিয়েছিলেন, জইশ প্রধান মাসুদ আজহার পাকিস্তানে রয়েছেন। তিনি এতটাই অসুস্থ যে বাড়ির বাইরে বার হতে পারেন না। ওই সাক্ষাৎকারে কুরেশি আবারও জানিয়েছেন, পাকিস্তান সব সময়ই ভারতের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত।

প্রসঙ্গত, ভারতের বিরুদ্ধে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহারের অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে ইমরান খানের সরকার। সন্ত্রাস দমন ছাড়া অন্য কাজে ওই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হবে না, এই শর্তে পাকিস্তানে বিমানটি বিক্রি করে আমেরিকা। মার্কিন প্রশাসন গত কালই ইসলামাবাদের কাছে জানতে চেয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে এফ-১৬ ব্যবহার করা হল কেন! সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র বলেন, ‘‘আমাদের কাছে একটি রিপোর্ট এসেছে। আমার ওই সংক্রান্ত আরও তথ্য সংগ্রহ করছি।’’ গত সপ্তাহে ভারতীয় সেনার তরফে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এফ-১৬ ব্যবহারের প্রমাণ প্রকাশ করা হয়। পাকিস্তান অবশ্য এফ-১৬ ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement