প্রতীকী ছবি
ঠান্ডা যুদ্ধের দিন আর নেই। কিন্তু অতিমারি পরবর্তী বিশ্বে নতুন করে তৈরি হচ্ছে বহুপাক্ষিক অক্ষ। নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র।
গালওয়ান সংঘাতের পরে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে চিন-বিরোধী শক্তিগুলির সঙ্গে সক্রিয়তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ফ্রান্স থেকে পাঁচটি রাফাল যুদ্ধবিমান এসে পৌঁছনোই শুধু নয়, কথা চলছে ইজরায়েল, রাশিয়া, আমেরিকা, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশের সঙ্গেও। গত রবিবার ইজ়রায়েলের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তার আগে দু’দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘ কথা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল কথা বলেছেন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট সি ওব্রায়েনের সঙ্গে। করোনা আবহের মধ্যেই ভারত সফরে এসেছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রাবৌ সাবিয়ান্তো। দু’দেশের নৌ-সেনার মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো নিয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ করার কথা হয়েছে। দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের একাধিপত্যের বিরুদ্ধে সরব হওয়া রাষ্ট্রগুলির অন্যতম ইন্দোনেশিয়া।
নিজের অক্ষের রাষ্ট্রগুলিকে কাছে টানতে সক্রিয় চিনও। পুরনো বন্ধু পাকিস্তানের পাশাপাশি নেপাল এবং আফগানিস্তানকে সঙ্গে নিয়ে কোভিড মোকাবিলা এবং করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত আর্থিক বৃদ্ধির গতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। বৈঠকের মোড়ক করোনা ও অর্থনীতি হলেও, বিষয়টিকে কৌশলগত চেহারা দেওয়াটা চিনের লক্ষ্য বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি ভারতে নতুন করে চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েও আজ কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চিন। রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে আজ চিনের বার্তা, ভুল শুধরে নিক ভারত। দিল্লিতে নিযুক্ত চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, “চিন-ও এ বার তার সংস্থাগুলির স্বার্থের কথা ভেবে ব্যবস্থা নেবে।’’