Central Government

চিনকে ঠেকাতে নজর পশ্চিমেও

সৌদি আরবে গিয়ে আমেরিকা, আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির নিরাপত্তা কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২৩ ০৮:৫৬
Share:

নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র

মনমোহন সরকারের সময় তৈরি হয়েছিল ‘পূবে তাকাও’ নীতি। নরেন্দ্র মোদী তাকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে করলেন ‘পূবে ঝাঁপাও’ (অ্যাক্ট ইস্ট) নীতি। এ বার চিনের সঙ্গে পাল্লা দিতে ও আরও কিছু কৌশলগত এবং বাণিজ্যিক কারণে আমেরিকাকে সঙ্গে নিয়ে পশ্চিমে তাকানোর নীতিতে অগ্রসর হতে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রকে।

Advertisement

সৌদি আরবে গিয়ে আমেরিকা, আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির নিরাপত্তা কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। বিষয়টিকে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। গত মার্চে ইরানের সঙ্গে সৌদির শান্তি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছিল চিন। ইরানের সঙ্গে সম্প্রতি চিনের সম্পর্ক বেশ ভাল হয়েছে। এই আবহে ধীরে ধীরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির ওপর চিন নিজের প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে। এত দিন পর্যন্ত ভারত নিজের কৌশলগত স্বনির্ভরতার প্রশ্নে পূর্ব এশিয়ায় সক্রিয়তায় জোর দিয়েছে। ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কোয়াড বা মালাবার নৌ মহড়ার মতো বিষয়গুলিতে যোগ দিয়েছে। কিন্তু পশ্চিম এশিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কের যে উন্নতি ঘটিয়েছিলেন, সেখানে ড্রাগনের আধিপত্য বাড়ছে। স্বাভাবিক ভাবেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে সাউথ ব্লক।

আমেরিকা চাইছে, আরব দুনিয়ায় চিনের মহা যোগাযোগ প্রকল্প ওবর-এর পাল্টা একটি প্রকল্প তৈরি করতে। ওয়াশিংটন চায়, সেখানে রেল সংযোগে ভারত তার পারদর্শিতাকে কাজে লাগাক। কূটনৈতিক সূত্রের মত, আরব দেশগুলিতে ভারতীয় বেসরকারি ও সরকারি সংস্থার প্রভাব বাড়লে তা সেখানে কর্মরত লক্ষ লক্ষ ভারতীয়ের ভবিষ্যতের জন্য ভাল। ভারতীয় উপমহাদেশের সঙ্গে পশ্চিম এশিয়ার সরাসরি সংযোগ তৈরি হলে ধারাবাহিক ভাবে অশোধিত তেল আমদানির সুযোগও তৈরি হবে। ভারতের নিজস্ব শক্তি চাহিদার প্রশ্নে বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement