মানবাধিকার প্রশ্নে পাল্টা ভারত প্রতীকী চিত্র
ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আমেরিকার সমালোচনার জবাব দিল দিল্লি। একই সঙ্গে ‘শিখস ফর জাস্টিস’-এর আনা অভিযোগ নস্যাৎ করতে জানাল, এটি যে সন্ত্রাসে মদত দেওয়া, বিচ্ছিন্নতাবাদী নিষিদ্ধ সংগঠন, রাষ্ট্রপুঞ্জকে তা জানানো হয়েছে।
আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রকের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে যখন ইচ্ছা গ্রেফতার বা আটকের মতো ঘটনা ঘটছে। বাক্ স্বাধীনতা খর্ব করা, হত্যা, হিংসা, এনজিও-গুলির উপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞার মতো বিষয়েরও উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। বিষয়টি নিয়ে দু’দিন ধরে বিতর্ক চলার পরে আজ মুখ খুলল ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের কথায়, “আমরা ওই রিপোর্ট সম্পর্কে অবহিত। এটি ওদের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া। ভারতের ঘটনাবলি সম্পর্কে সম্যক কোনও ধারণা ছাড়াই এই ধরনের কথা বলা হচ্ছে।”
রাজনৈতিক সূত্রের মতে, দিল্লির সীমানায় চার মাস ধরে চলা কৃষক আন্দোলনের জেরে শুধু আমেরিকাই নয়, পশ্চিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে মুখ পুড়ছে মোদী সরকারের। তৈরি হচ্ছে তীব্র অস্বস্তি। তাই নিয়মিত বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে থেকে আসা সমালোচনাকে খর্ব করার জন্য বিবৃতি দিতে হচ্ছে বিদেশ মন্ত্রককে।
এর পাশাপাশি ভারতে নিষিদ্ধ আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে কখন কী অভিযোগ আনে, তার পাল্টা দেওয়ার জন্যও প্রস্তুত থাকতে হচ্ছে সাউথ ব্লককে। এই শিখ সংগঠনটি সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাইকমিশনারের অফিসে মোদী ও শাহের বিরুদ্ধে পঞ্জাবের শিখ কৃষকদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ জানিয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসে নিহত কৃষক নভরীত সিংহের পরিবারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই অফিসে অভিযোগটি পৌঁছে দেয় ‘শিখস ফর জাস্টিস’। আজ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটি জাতীয়তাবাদ-বিরোধী, সন্ত্রাসে মদত দেওয়া বেআইনি সংগঠন। এ কথা ভারত বিস্তারিত জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের সংশ্লিষ্ট কার্যালয়কে।”