—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
মলদ্বীপ থেকে সেনা সরাতে শুরু করেছে ভারত। সেখানে পর্যবেক্ষক বিমান চালনা করতেন ওই জওয়ানেরা। মলদ্বীপের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম মঙ্গলবার দাবি করেছে, সেই বাহিনীকেই দেশে ফিরিয়ে আনছে ভারত।
মলদ্বীপের সংবাদপত্র মিহারুর দাবি, ১০ মার্চের মধ্যে আদ্দু থেকে ২৫ বাহিনী সেনা সরিয়ে নিয়েছে ভারত। ফেব্রুয়ারির শুরুতে দিল্লিতে বৈঠকে বসে দুই দেশ যা স্থির করেছিল, তা-ই করা হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে মলদ্বীপে ক্ষমতায় এসেছেন মহম্মদ মুইজ্জু। তার পরই তিনি জানিয়ে দেন, সে দেশ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে ভারতীয় সেনা। ফেব্রুয়ারির দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে স্থির হয়, ১০ মের মধ্যে মলদ্বীপ থেকে সেনা সরিয়ে নেবে ভারত। ১০ মার্চের মধ্যে প্রথম ধাপে সেনা সরানো হবে। সেই কাজই শুরু হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় সংবাদপত্রে। যদিও এই নিয়ে ভারত বা মলদ্বীপ সরকার কোনও মন্তব্য করেনি।
ওই স্থানীয় সংবাদপত্রের আরও দাবি, মলদ্বীপে ভারতের যে দু’টি হেলিকপ্টার এবং একটি বিমান রয়েছে, সেগুলি এ বার থেকে চালনা করবেন ভারতীয় কর্মীরা। তারা ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন।
গত সপ্তাহেই চিনের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে মলদ্বীপ। দ্বীপরাষ্ট্রকে এ বার থেকে ‘সামরিক সাহায্য’ দেবে চিন। মলদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, এতে দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত হবে। চুক্তি অনুসারে তাঁদের সেনাবাহিনীকেও প্রশিক্ষণ দেবে চিন। ভারতের আশঙ্কা, এর ফলে মলদ্বীপের উপর চিনের প্রভাব বৃদ্ধি পেতে পারে। সেই সঙ্গে ভারত মহাসাগরেও চিনের প্রভাব বৃদ্ধি পেতে পারে।
গত সেপ্টেম্বরে ‘চিন-ঘনিষ্ঠ’ মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারত এবং মলদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটতে শুরু করেন। ক্রমেই চিনের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেন নতুন প্রেসিডেন্ট। গত জানুয়ারিতে বেজিং সফরে গিয়েছিলেন মুইজ্জু। তখন চিনের সঙ্গে পরিকাঠামো, শক্তি, কৃষি সংক্রান্ত একাধিক চুক্তি সই করেন তিনি।
গত মাসে ভারত জানিয়েছে, ‘কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ’ লক্ষদ্বীপে এখন নৌবাহিনী জড়ো করা হচ্ছে। সেখান থেকেই নজর রাখা হবে ভারত মহাসাগরে। মলদ্বীপ থেকে ১৩০ কিলোমিটার উত্তরে রয়েছে লক্ষদ্বীপ। নৌবাহিনী সূত্রে খবর, মিনিকয় দ্বীপেও বাহিনীর বহর বৃদ্ধি করা হয়েছে।