ভারতীয় ভোটযন্ত্রের ভয়ে কাঁটা কালাহারি

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৮ ০২:৩১
Share:

লালমোহন গাঙ্গুলি থাকলে লিখতেই পারতেন— কালাহারিতে কেলেঙ্কারি!

Advertisement

ইভিএম-এ কারচুপির আশঙ্কা এবার উত্তরপ্রদেশের কৈরানা থেকে পৌঁছে গিয়েছে আফ্রিকার দক্ষিণাংশে বতসোয়ানা পর্যন্ত।

কালাহারি মরুভূমির দেশ বতসোয়ানায় বছর ঘুরতেই পার্লামেন্ট নির্বাচন হতে চলেছে। সেই ভোটে ভারতের তৈরি ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শাসক বতসোয়ানা ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। কিন্তু সে দেশেও এখন ইভিএমে কারচুপির আশঙ্কায় সরব হয়েছে বিরোধী দল— বতসোয়ানা কংগ্রেস। ভারতে যেমন বিজেপির বিরুদ্ধে ইভিএমে কারচুপি করার অভিযোগ উঠেছে, তেমন সে দেশেও ইভিএমে কারচুপি করে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে।

Advertisement

হিরের জন্য বিখ্যাত, ২২ লক্ষের জনসংখ্যার বতসোয়ানায় ভোটারের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ। রয়েছে ৫৭টি নির্বাচনী কেন্দ্র। বুথের সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার। আসন্ন নির্বাচনে দ্রুত ভোট প্রক্রিয়া শেষ করতে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়ে সে দেশের নির্বাচনী আইনে সংশোধনী আনে শাসক দল। ঠিক হয়, দশ হাজার টাকা দিয়ে এক-একটি ইভিএম কেনা হবে। সরকারের ওই সিদ্ধান্ত সামনে আসতেই আদালতের দ্বারস্থ হন সে দেশের বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, ভারতেই যেখানে ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে, সেখানে তাদের দেশে কেন ওই বিতর্কিত ইভিএম ব্যবহার করা হবে। ওই মামলায় সাক্ষ্য দিতে ডাক পড়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন, ইভিএম প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড ও ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেডের প্রতিনিধিদের।

মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা ছাড়াও আফ্রিকার ঘানা, নামিবিয়ার মতো দেশগুলি অতীতে ভারতীয় ইভিএম ব্যবহার করেছে। কিন্তু ভারতে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের পরে ইভিএমে কারচুপির প্রশ্নে বিরোধী শিবির এককাট্টা হতেই সক্রিয় হয়ে ওঠে বতসোয়ানার বিরোধীরা। সমস্যার সমাধানে দিন দু’য়েক সে দেশের নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা দেখা করেন ভারতের নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে। তাঁরা চাইছেন, ভারতের নির্বাচন কমিশন ও প্রস্তুতকারক সংস্থার প্রতিনিধিরা ইভিএম নিয়ে গিয়ে সে দেশের আদালতকে জানাক, কেন সেই মেশিনে কারচুপি করা অসম্ভব। বিষয়টির সঙ্গে আইনি বাধ্যবাধকতা জড়িয়ে থাকায় কমিশনের তরফে বিষয়টি জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও বিদেশমন্ত্রকেও। কমিশন সূত্রের খবর, কেন্দ্রের ছাড়পত্র এলে তবেই বতসোয়ানায় প্রতিনিধি পাঠানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement