ফাইল চিত্র।
একটি তুষার চিতাবাঘের ভিডিয়ো শেয়ার করেছিলেন তিনি। তবে তার জন্য যে তাঁকে এ ভাবে ব্যঙ্গের শিকার হতে হবে, তা হয়তো কল্পনাও করতে পারেননি পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান!
টুইটারে ইমরানের শেয়ার করা ওই ভিডিয়োটি ৪৫ সেকেন্ডের। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বরফে ঢাকা কোনও এক জায়গায় একটি তুষার চিতাবাঘ বেরিয়ে এসে বেশ তর্জন-গর্জন করছে। তবে কিছুক্ষণ পরেই সে উধাও হয়ে যায়। সঙ্গে ক্যাপশনে ইমরান লিখেছেন, ‘‘খাপলুতে লাজুক তুষার চিতাবাঘের এক বিরল ছবি।’’ এই ‘ছবি’ শেয়ার হতে না হতেই এর কমেন্ট বক্স উপচে যায় কটাক্ষের জোয়ারে। ঘুরিয়ে ফিরেয়ে যার বিষয়বস্তু সেই একটাই— দেশজুড়ে বাড়তে থাকা পেট্রল, গ্যাস, এবং বিদ্যুতের দাম।
এক জন যেমন লেখেন, ‘‘গোটা সম্প্রদায় মুদ্রাস্ফীতি এবং দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে চলেছে, আর প্রধানমন্ত্রীর নজর স্রেফ পর্যটনের দিকে।’’ যদিও এতে দমে যাননি প্রধানমন্ত্রী। প্রথমটার পরে ফের একটি তুষার চিতাবাঘের ভিডিয়ো শেয়ার করেন তিনি। সেখানে তাঁর বার্তা, ‘‘তুষার চিতাবাঘের এ রকম একাধিক ভিডিয়ো পাঠানো হয়েছে আমাকে, যা এ বছরই তোলা। ... আমার সরকার কড়া পদক্ষেপ করতেই এদের সংখ্যা বাড়ছে...।’’ এই ভিডিয়োটির নীচেও বয়ে যায় কটাক্ষের বন্যা। জনৈক টুইটার ব্যবহারকারী যেমন লেখেন, ‘‘দেশবাসী না-খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছেন, আর আপনি পর্যটন নিয়ে পড়ে আছেন... দু’বেলা রুটি জোগাড় করতেও হিমশিম খাচ্ছে মানুষ।’’ আরও এক জনের মন্তব্য, ‘‘পাকিস্তানে মানুষের নিরাপত্তার ঠিক নেই, তবে তুষার চিতাবাঘের সংখ্যা বেড়ে চলেছে!’’ এই প্রসঙ্গে উঠে এসেছে খাইবার পাখতুনখোয়ার স্থানীয় নির্বাচনে ইমরানের দলের পরাজয়ের বিষয়টিও। এক নেটিজ়েনের কথায়, ‘‘পেট্রল, গ্যাস এবং বিদ্যুতের দাম, বেকারত্বের হার, মুদ্রাস্ফীতির হার, দেশের রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কে কতটা ঘাটতি, সেগুলো নিয়েও একটা ভিডিয়ো শেয়ার করুন না। ঈশ্বরকে ভয় করুন ভাই। অন্তত নিজের কথা ভেবে সে সব নিয়ে কথা বলুন, যা নির্বাচনে আপনাকেই সাহায্য করবে।’’
ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ সরকার গড়ার প্রথম বছরেই বেকারত্বের হার অনেকটা বেড়ে যায়। পুরুষদের ক্ষেত্রে ৫.১%। আর মহিলাদের ক্ষেত্রে তা ৫.৯%। মুদ্রার দরও ডলারের নিরিখে ৩০.৫% পড়ে গিয়েছে। সঙ্গে জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া দাম।