বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে হংকং ব্রিটেনের হাত থেকে চিনের কাছে যাওয়ার পরে, ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই তৈরি হয় এই প্রতীক। সরকারি সদর দফতরে সেই প্রতীকে কালি দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। এএফপি
মাস পেরোয়নি। ফের প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তাল হংকং। বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিলের বিরোধিতা করে জুন মাসে দশ লক্ষেরও বেশি মানুষ নেমেছিলেন হংকংয়ের রাস্তায়। প্রবল চাপে সেই বিল আনা আপাতত স্থগিত রেখেছেন স্বশাসিত এই অঞ্চলের প্রশাসনিক প্রধান ক্যারি লাম। কিন্তু আজ ফের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মিছিল করলেন হাজার হাজার হংকংবাসী। এক সময়ে শান্তি মিছিলই হয়ে উঠল অহিংস। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে আহত হয়েছেন দু’পক্ষেরই বেশ কয়েক জন।
বহু বছর ব্রিটেনের উপনিবেশ ছিল হংকং। ২২ বছর আগে ক্ষমতা হস্তান্তরিত হয় চিনের কাছে। তার পর থেকে স্বশাসিত এই অঞ্চলের মূল কর্তৃত্ব বেজিংয়ের হাতে। আজ সেই ক্ষমতা হস্তান্তরেরই বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান ছিল। যার বিরোধিতা করে বিক্ষোভকারীরা আইনসভা ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। ওই ভবনের একাধিক জানলার কাচ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। স্প্রে পেন্ট করে সরকার-বিরোধী বার্তায় ভরিয়ে দেওয়া হয় ভবনের দেওয়াল। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামতে হয় শহরের দাঙ্গা দমনকারী পুলিশকে। পেপার স্প্রে, লাঠি, বর্ম হাতে বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে তারা। গত মাসে বিক্ষোভকারীদের সামলাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, রবার বুলেট ব্যবহার করায় বিরোধীরা তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। এ বার তাই পুলিশ যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছে বলে দাবি করেছেন শহরের পুলিশ প্রধান।
আজ সকাল থেকেই শহরের নানা প্রান্তে শান্তি মিছিলের জন্য জড়ো হচ্ছিলেন সরকার-বিরোধী বিক্ষোভকারীরা। ক্যারি লামের ইস্তফা চেয়ে আরও এক বার সরব হন তাঁরা। আইনসভা ভবনে যখন বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান হওয়ার কথা, তার আধ ঘণ্টা আগেই ভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় বিক্ষোভকারীদের। পুলিশের দাবি, বিক্ষোভকারীদের একাংশের কাছে ভারী, ধাতব বস্তু ছিল যার আঘাতে পুলিশকর্মীরা আহত হয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা পাল্টা জানিয়েছেন, পুলিশের লাঠিচার্জে মাথা ফেটেছে অনেকের।
হংকংয়ের প্রশাসক ক্যারি লাম চিনের প্রতি অতিরিক্ত অনুগত বলে অভিযোগ করে আসছেন বিরোধীরা। তাঁকে সরানোর আওয়াজ উঠেছিল প্রত্যর্পণ বিলের বিরোধিতার সময়েও। লাম সি টিং নামে এক বিক্ষোভকারী আজ বলেন, ‘‘এটা উদ্যাপনের সময় নয়। ক্যারি লামের দ্রুত পদত্যাগ উচিত করা। কারণ উনি ঠিক করেছেন হংকংয়ের মানুষের কথা শুনবেন না।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।