নরেন্দ্র মোদী ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল চিত্র।
হিউস্টনে তাঁর সভায় ডোনাল্ড ট্রাম্প আসছেন শুনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তার ঠিক পরমুহূর্তেই সাংবাদিকদের কাছে ট্রাম্প জানান, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এক মঞ্চে বসার জন্য তিনিও মুখিয়ে রয়েছেন। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর হিউস্টনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনদের সভায় নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এক মঞ্চ ভাগ করে নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত দেখার অপেক্ষায় রয়েছে গোটা বিশ্ব। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে একটি বড় সুযোগ এই সমাবেশ।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সমাবেশকে যে হোয়াইট হাউসও গুরুত্ব দিয়ে দেখছে তা ট্রাম্পের কথাতেই স্পষ্ট। তবে আরও একটি বিষয়ও উঠে আসছে। ২০২০-তে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট পদের নির্বাচন। সেই নির্বাচনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনরা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। ‘হাউডি মোদী’ হল সেই সব ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনদের একটি সভা। নয়াদিল্লি যেমন এই সমাবেশকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে, তেমনই মার্কিন প্রেসিডেন্টও আগামী নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে চাইবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
নরেন্দ্র মোদীর পাশাপাশি পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গেও সাক্ষাতের কথা রয়েছে ট্রাম্পের। মোদীর মার্কিন সফরকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও আমেরিকায় থাকবেন। দুই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কি কাশ্মীর বিষয়ে আলোচনা হবে? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তর সরাসরি না দিলেও ট্রাম্প বলেন, “ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা এখন অনেকটাই কমেছে। দুই রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে সাক্ষাতে বেশ কিছু বিষয়ে অগ্রগতির পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে আশা প্রকাশ করছি।” ‘হাউডি মোদী’ সভা শেষে ওহায়ো যাওয়ার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। তার পর সেখান থেকে নিউ ইয়র্কে যাবেন রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় যোগ দিতে। ইমরান খানের সঙ্গে কোথায় কখন সাক্ষাত্ করবেন তিনি সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলেননি ট্রাম্প।
তবে হোয়াইট হাউসের এক সূ্ত্র বলেছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার ফাঁকে হয়ত পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হতে পারে ট্রাম্পের। সেখানে ফের কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে ধরার চেষ্টা ইমরান করতে পারেন বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন: মোদীর সভায় আসবেন ট্রাম্প, খুশি সাউথ ব্লক
আরও পড়ুন: কাল দিল্লিতে মোদী ও মমতার বৈঠক, প্রায় আড়াই বছর পরে একান্ত কথা