এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির পর ১ ডিসেম্বর থেকে ফের শুরু হয়েছে যুদ্ধ। —ফাইল চিত্র।
গাজ়ায় ক্রমশ ‘কোণঠাসা’ হচ্ছে হামাস। অস্ত্র সমর্পণের ভিডিয়ো প্রকাশ করে ইজ়রায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)-এর এই দাবির পরের দিনই ইজ়রায়েলকে হুঁশিয়ারি দিল হামাস। সংবাদ সংস্থা এফপি সূত্রে খবর, তাঁদের মুখপাত্র আবু ওবেইদার হুঁশিয়ারি, তাদের দাবি মেনে নেওয়া না পর্যন্ত এক জন বন্দিও গাজ়া থেকে বেঁচে ফিরতে পারবেন না।
রবিবার প্রকাশ্যে টেলিভিশনে হুঁশিয়ারি দিয়ে ওবেইদা বলেন, “যত ক্ষণ না বন্দি বিনিময় হবে এবং আলোচনার মাধ্যমে তাঁদের দাবি মেনে নেওয়া হবে তত ক্ষণ ফ্যাসিবাদী শত্রু, তার অহঙ্কারী নেতৃত্ব এবং তাঁর সমর্থকেরা গাজ়া থেকে এক জন বন্দিকেও জীবিত অবস্থায় বার করে আনতে পারবেন না।” তিনি আরও বলেন, “বর্বর দখলদারদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। শত্রুপক্ষের লক্ষ্যই হল আমাদের প্রতিরোধ ভেঙে ফেলা। কিন্তু আমরা আমাদের মাটি রক্ষা করতে এই পবিত্র লড়াই চালিয়ে যাব।”
শনিবারই আইডিএফ-এর তরফ থেকে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে দাবি করা হয়, হামাসের বহু সদস্য অস্ত্র সমর্পণ করছেন (সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, চারপাশে ধ্বংসের চিহ্ন। তার মাঝে খালি গায়ে হাতে বন্দুক নিয়ে দাঁড়িয়ে কয়েশো জন। এক এক করে তাঁরা এগিয়ে আসছেন, আর বন্দুক রেখে দিচ্ছেন। এই ভিডিয়োই প্রকাশ করে ইজ়রায়েল জোর গলায় দাবি করছে যে, তারা গাজ়ায় হামাস বাহিনীকে ‘কোণঠাসা’ করে ফেলেছে। তাদের কোমর ভেঙে দিয়েছে। তার পরের দিনই হামাসের তরফ থেকে এই হুঁশিয়ারি।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজ়ায় হামলা শুরু করেছে ইজ়রায়েল। ডিসেম্বরের ৫ তারিখ পর্যন্ত নিহত প্যালেস্টাইনির সংখ্যা ১৬,২০০। যাদের মধ্যে শিশু ও নারীর সংখ্যা দশ হাজারেরও বেশি। মাঝে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছিল। ১ ডিসেম্বর থেকে ফের যুদ্ধ শুরু হয়। মাঝের ওই এক সপ্তাহে হামাস ১০৫ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছিল। তার মধ্যে ৮০ জন ছিলেন ইজ়রায়েলের। অপর দিকে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশের তরফ থেকে ২৪০ জন প্যালেস্টাইনিকে মুক্তি দেওয়া হয়।