Hamas

‘ভারত-বিরোধী’ সন্ত্রাসী সম্মেলন পাক অধিকৃত কাশ্মীরে? এলেন হামাস, জইশ, লস্করের নেতারাও

বিভিন্ন সূত্রের দাবি, সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন ইরানে হামাসের প্রতিনিধি খালিদ আল-কাদুমি। যদি তা-ই হয়, তা হলে এটাই হবে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে কোনও হামাস নেতার প্রথম সফর!

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৪০
Share:
পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বুধবারের বৈঠকের ছবি।

পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বুধবারের বৈঠকের ছবি। ছবি: সংগৃহীত।

পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বুধবার পালিত হল ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’। অভিযোগ, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠনের উপস্থিতিতে সেখানে ‘ভারত-বিরোধী’ এক সন্ত্রাসী সম্মেলনেরও আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন সূত্রের দাবি, সম্মেলনে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ (জেইএম) এবং লস্কর-ই-তইবা (এলইটি)-র নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের প্রবীণ নেতারাও!

Advertisement

সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’ জানিয়েছে, বুধবার রাওয়ালকোটের শহিদ সাবির স্টেডিয়ামে ‘কাশ্মীর সংহতি ও হামাস অপারেশন ‘আল আকসা বন্যা’’ শীর্ষক সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিদের মধ্যে ছিলেন জইশের প্রধান মাসুদ আজহারের ভাই তালহা সাইফ, জইশের কমান্ডার আসগর খান কাশ্মীরি ও মাসুদ ইলিয়াস। ছিলেন লস্করের শীর্ষ স্থানীয় নেতারাও। বিভিন্ন সূত্রের দাবি, সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন ইরানে হামাসের প্রতিনিধি খালিদ আল-কাদুমি। যদি তা-ই হয়, তা হলে এটাই হবে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে কোনও হামাস নেতার প্রথম সফর!

ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ওই বৈঠকে খালিদ ছাড়াও হামাসের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েক জন প্যালেস্টাইনি নেতা উপস্থিত ছিলেন। জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলামের প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমানের সঙ্গে পৃথক বৈঠকও করেন তাঁরা। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে নানা মহলে। এর আগে ভারতের মাটিতে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে জইশ ও লস্করের জঙ্গিরা। ফলে ভারত-বিরোধী জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠীর বৈঠক নিয়ে চিন্তিত অনেকেই। প্রসঙ্গত, অতীতে একাধিক বার কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছিল হামাস। সে সময় জল্পনা ছড়িয়েছিল, দক্ষিণ এশিয়ার সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির সঙ্গে হামাসের যোগসূত্র থাকতে পারে। কাশ্মীর সংহতি দিবসের এই অনুষ্ঠান সেই জল্পনাই ফের উস্কে দিল।

Advertisement

নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ১৯৯১ সালে ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’ দিনটি পালন করা শুরু করেন। সেই উপলক্ষে প্রতি বছর ৫ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকে। তবে সাম্প্রতিক অতীতে দেখা গিয়েছে, এই বিশেষ দিনটিকে ভারত বিরোধী প্রচারের কাজে ব্যবহার করছেন সে দেশের রাজনীতিকরা। এ বারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বুধবার ভারতের আপত্তি উড়িয়ে আবার কাশ্মীর সংহতি দিবস পালন করেছে পাকিস্তান সরকার। ‘ভারতের হাতে নিপীড়িত কাশ্মীরবাসীর’ পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement