International News

হাফিজ বিতর্ক: রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নিল প্যালেস্তাইন

।কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, “বিষয়টি খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৮:১৮
Share:

হাফিজ সইদের সঙ্গে প্যালেস্তাইনের রাষ্ট্রদূত। ছবি সৌজন্য: নাভিদ অঞ্জুমের টুইটার অ্যাকাউন্ট।

নয়াদিল্লি কড়া প্রতিক্রিয়া জানানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান থেকে তাদের রাষ্ট্রদূত ওয়ালিদ আবু আলিকে ফিরিয়ে নিল প্যালেস্তাইন। একই সঙ্গে এই ঘটনার জন্য ‘গভীর ভাবে দুঃখপ্রকাশ’ও করল তারা।

Advertisement

শুক্রবার রাওয়ালপিন্ডিতে লস্কর প্রধান হাজিফ সইদের সভায় গিয়েছিলেন প্যালেস্তাইনের রাষ্ট্রদূত। ২৬/১১-র মূল চক্রীর সঙ্গে একই মঞ্চে পাশাপাশি দেখা যায় তাঁকে। সেই ছবি প্রকাশ্যে আসার পর শনিবার নয়াদিল্লি প্রতিবাদ জানায় ভারত।কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, “বিষয়টি খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। নয়াদিল্লিতে প্যালেস্তাইনের রাষ্ট্রদূতের কাছে বিষয়টি তুলে ধরা হবে।” দ্রুতই সরকারি ভাবে এই ক্ষোভের বার্তা প্যালেস্তাইনকে পাঠায় দিল্লি।

শনিবার বিকেলেই কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে আর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, “প্যালেস্তাইন এই কর্মকাণ্ডের জন্য গভীর দুঃখপ্রকাশ করেছে। ওই রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে তারা।” এর পরেই জানা যায় পাকিস্তান থেকে তাদের রাষ্ট্রদূত ওয়ালিদ আবু আলিকে ফিরিয়ে নিচ্ছে প্যালেস্তাইন।

Advertisement

আরও পড়ুন: হাফিজের সভায় প্যালেস্তিনীয় রাষ্ট্রদূত, অস্বস্তিতে নয়াদিল্লি

কুলভূষণের মা-স্ত্রীকে হেনস্থা, আইএসআই প্রশংসায় হাফিজ

প্যালেস্তাইনের এই সিদ্ধান্তে একটা বড় অস্বস্তির হাত থেকেও রক্ষা পেল নয়াদিল্লি। ক’দিন আগেই যে দেশটার পক্ষে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে জেরুসালেম ইস্যুতে ভোট দিয়েছে ভারত, সেই প্যালেস্তাইনের রাষ্ট্রদূতে কাণ্ড বিড়ম্বনায় ফেলেছিল বেশ কিছুটা। কারণ জেরুজালেম ইস্যুতে ভারত রাষ্ট্রপুঞ্জে ভোট দিয়েছে নিজের ‘স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার’ আমেরিকা এবং ক্রমশ আরও ভাল ‘বন্ধু রাষ্ট্র’ হয়ে ওঠা ইজরায়েলেকে চটিয়ে ফেলার ঝুঁকি নিয়েই।

এ মাসের গোড়ায় জেরুসালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী বলে স্বীকৃতি দিয়ে বিবৃতি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ঝড় ওঠে বিশ্ব জুড়ে। যে শহরকে ঘিরে ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের মধ্যে দীর্ঘ দিনের বিরোধ, ট্রাম্পের বিবৃতিতে তা আবার উঠে আসে সামনে। বিষয়টি রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটি পর্যন্ত গড়ায়। প্রায় একঘরে হয় আমেরিকা, ইজরায়েল। ১২৭টি দেশ আমেরিকা আর ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ভোট দেয়। এর মধ্যে ভারতও ছিল। মোদী সরকারের মধ্যেও অনেকে কিন্তু ভারতের এই ভোটদানের পক্ষে ছিলেন না। অনেকেরই মত, ভারত ভোটদানে বিরত থাকালেই ভাল করত।

এ বছরের শুরুতেই প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ভারত সফরে এসেছিলেন। আগামী ফেব্রুয়ারিতে প্যালেস্তাইনের রামাল্লায় মোদীর যাওয়ার কথা রয়েছে। যদি যান, এটাই হবে প্যালেস্তাইনে তাঁর প্রথম সফর। যখন নয়াদিল্লি ও রামাল্লার মধ্যে মোদীর সফর নিয়ে আলোচনা চলছে, ঠিক সেই সময়েই হাফিজ সইদের সভায় প্যালেস্তাইন রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতি দু’দেশের সম্পর্কের মধ্যে একটা টানাপড়েন তৈরি করে ফেলেছিল আচমকাই। রাষ্ট্রদূতকে সরিয়ে প্যালেস্তাইন অবশ্য ভারতের প্রতি সুসম্পর্ক রাখার ইতিবাচক বার্তাই দিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement