বন্দুক নিয়ে শাসানি, বর্ণবিদ্বেষের নালিশ

ওই উবের চালকের অভিযোগ, তাঁর গাড়িতে উঠে তাঁর কপালে বন্দুক দেখিয়ে তাঁকে বর্ণবিদ্বেষমূলক কথা বলে শাসানি দিয়েছে এক পুরুষ যাত্রী। অভিযুক্ত এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় এখনও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। অভিযুক্তের গ্রেফতারি চেয়ে সরব হয়েছে ইলিনয়ের শিখদের একটি সংগঠনও।

Advertisement

স‌ংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:১৪
Share:

মার্কিন মুলুকে ফের বর্ণবিদ্বেষের শিকার এক শিখ উবের চালক!

Advertisement

ওই উবের চালকের অভিযোগ, তাঁর গাড়িতে উঠে তাঁর কপালে বন্দুক দেখিয়ে তাঁকে বর্ণবিদ্বেষমূলক কথা বলে শাসানি দিয়েছে এক পুরুষ যাত্রী। অভিযুক্ত এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় এখনও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। অভিযুক্তের গ্রেফতারি চেয়ে সরব হয়েছে ইলিনয়ের শিখদের একটি সংগঠনও।

গুরজিৎ সিংহ নামে ওই ক্যাবচালক উত্তর-পশ্চিম ইলিনয়ের ধর্মীয় নেতাও। তাঁর দাবি, ঘটনাটি ২৮ জানুয়ারি রাতের। ওই দিন এক মহিলা ও এক পুরুষ তাঁর ক্যাবে উঠেছিলেন। এর পর ওই পুরুষ যাত্রী তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনি কোন দেশ থেকে এসেছেন? আপনি কি আমার দেশের সেবা করছেন না আপনার দেশের সেবা করছেন?’’ তাতে একটু ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন গুরজিৎ। তিনি জানান, তিনি ভারতীয়। তাঁর বাবা-মা ভারতেই থাকেন। তিনি ভারত আর আমেরিকা— এই দুই দেশেরই সেবা করেন। গুরজিতের অভিযোগ, তিনি নিজের ধর্ম সম্পর্কে বুঝিয়ে বলতে গেলে ওই পুরুষ যাত্রী আচমকাই তাঁর দিকে বন্দুক উঁচিয়ে বলতে শুরু করে, ‘‘যাঁরা পাগড়ি পরে ও দাড়ি রাখে, আমি তাদের ঘৃণা করি।’’

Advertisement

গুরজিৎ সিংহ নামের ওই ক্যাবচালক।

এর পর ওই মহিলা যাত্রী আর দেরি করেননি। গুরজিৎ গাড়ি থামালে জোর করে সহযাত্রীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন তিনি। গুরজিতের কাছে ক্ষমা চেয়ে তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দিতে বলেন। এর পরের দিনই পুলিশে অভিযোগ জানান গুরজিৎ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। ফলে উদ্বেগে রয়েছেন স্থানীয় শিখ সম্প্রদায়।

গুরজিতের আইনজীবী অমৃত কৌর জানান, এই ধরনের বিদ্বেষমূলক হামলা এক জনের উপর করা হলে গোটা সম্প্রদায়ের উপরই তার প্রভাব পড়ে। আর নিজের যে বিষয়টাকে কেউ ভালবাসেন বা শ্রদ্ধা করেন, তার জন্য আক্রান্ত হলে তা ওই মানুষটাকে একেবারে ভিতর থেকেই নাড়িয়ে দেয়। ঠিক যেমনটা হয়েছে তাঁর মক্কেলের ক্ষেত্রেও। আক্রান্ত হওয়ার পর এখনও আতঙ্কে রয়েছেন গুরজিৎ। কারণ প্রতি মুহূর্তেই তাঁর মনে হচ্ছে, ওই হামলাকারী ফিরে এসে ফের তাঁকে শাসাতে পারেন।

উবের সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সব তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। আর তদন্তেও পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে।

আমেরিকায় শিখদের উপর হামলা নতুন কিছু নয়। হামেশাই বর্ণবিদ্বেষের শিকার হন শিখরা। যেমন দিন কয়েক আগেই কেন্টাকির একটি গ্যাসকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছিল মুখোশধারী এক দুষ্কৃতী। ওই গ্যাসকেন্দ্রটির মালিক এক শিখ। গ্যাসকেন্দ্রটিতে ভাঙচুর চালিয়ে বর্ণবিদ্বেষমূলক শাসানিও দেয় ওই হামলাকারী। এ বার বর্ণবিদ্বেষমূলক ঘটনার সেই তালিকায় জুড়ে গেল ইলিনয়ের এই ঘটনাও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement