—প্রতীকী চিত্র।
জীবনযাপন যত বেশি ডিজিটাল নির্ভর হয়ে পড়ছে, ততই রমরমিয়ে বাড়ছে সাইবার অপরাধ। অপ্রাপ্তবয়স্কদের নিরাপত্তায় তাই নিয়মবিধিতে বদল আনছে সার্চইঞ্জিন জায়ান্ট গুগল। ইমেজ সার্চ থেকে ১৮ অনূর্ধ্বদের ছবি সরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে, যাতে সহজে তাদের ছবি কারও হাতে না পড়ে। ছবি দেখানো নিয়ে আপত্তি রয়েছে, শুধু এটুকু গুগলকে জানালেই হবে। অপ্রাপ্তবয়স্ক গ্রাহক নিজে অথবা তাদের অভিভাবকরা তাদের ইমেল আইডি থেকে সেই সংক্রান্ত অনুরোধ জানাতে পারবেন।
তবে শুধুমাত্র ইমেজ সার্চের ক্ষেত্রেই এই নীতি আনছে গুগল। তবে ইমেজ সার্চ থেকে ছবি সরালেই ডিজিটাল মাধ্যম থেকে পুরোপুরি গ্রাহকের ছবি সরে যাবে না। কোনও ওয়েবসাইটে ছবি ব্যবহার করা থাকলে, তা সরানোর দায় থাকবে না গুগলের। তবে গুগলের দাবি, ইমেজ সার্চ থেকে ছবি সরালেই অনেকটা বিপন্মুক্ত হওয়া যাবে। কারণ ডিজিটাল দুনিয়ায় কারও গতিবিধির উপর নজর রাখতে, ইমেজ সার্চকেই হাতিয়ার করে অপরাধীরা।
এমনিতে ১৩ বছরের কমবয়সিদের গুগল অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি নেই। কিন্তু কেউ যদি বয়স ভাঁড়িয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে থাকে, তা শনাক্ত করার অ্যালগোরিদম বা গাণিতিক পরিভাষাও এখনও বার করতে পারেনি গুগল। সেই খামতির কথা মাথায় রেখেই ইউটিউব, গুগল সার্চ অ্যাপ এবং গুগল অ্যাসিস্ট্যান্টের নিয়মবিধিও পরিবর্তন আনছে তারা। অপ্রাপ্তবয়স্ক কেউ যদি নিজে থেকে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্ধারিত বিষয়বস্তু না খোঁজেন, তা হলে গুগল কখনও তাদের সামনে সে সব তুলে ধরবে না বলেও জানানো হয়েছে।
পড়াশোনা-সহ নানা বিষয়ে ডিজিটাল মাধ্যমের উপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে পড়ুয়াদের। সে কথা মাথায় রেখে ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত যাদের বয়স, তাদের জন্য সেফটি সার্চ প্রোটেকশন আগেই নিয়ে এসেছে গুগল। সেটি চালু করা থাকলে অপ্রাপ্তবয়স্কের নাগাল থেকে আপত্তিকর বিষয়বস্তুও ছেঁকে বার করে তারা। ১৮ ঊর্ধ্বরা চাইলে নিজে থেকে এই সেফটি সার্চের ব্যবস্থা করতে পারেন। মোবাইলের প্লে স্টোরেও বিশেষ নিরাপত্তা বিভাগ রেখেছে গুগল, যার মাধ্যমে ছেলেমেয়েরা কী খোঁজাখুঁজি করছে, তা জানতে পারবেন মা-বাবা। ছেলেমেয়ে কত ক্ষণ মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করছে, তার উপর নজর রাখতেও সুবিধা হবে মা-বাবার।