মার্ক জুকেরবার্গ। ছবি: রয়টার্স।
‘‘সংস্থার নেতৃত্ব দেওয়ার পক্ষে আপনি কি নিজেকে উপযুক্ত বলে মনে করেন?’’ ওয়াশিংটনের সাংবাদিক সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের মুখে পড়ে খানিকটা হলেও যেন থমকে গেলেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকেরবার্গ। ধীর গলায় তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘‘ভুল তো হয়েছেই। কিন্তু আমাকে একটা সুযোগ দিন।’’
নিজের হাতে ফেসবুককে তিনি গড়েছেন তিলে তিলে। জুকেরবার্গ এবং ফেসবুক না কি সমার্থক! কিন্তু তথ্যফাঁসের অভিযোগ তো শুধুমাত্র ফেসবুককে ধাক্কা দেয়নি।তাঁর পায়ের তলার মাটিও যে নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে, সেটাও স্পষ্ট। নইলে বুধবার ওয়াশিংটনে দাঁড়িয়ে কেন তাঁকে বলতে হবে, ‘‘যেটা হয়েছে, সেটা আমার ভুল। আমায় একটা সুযোগ দিন।’’ ফেসবুকের পরিচালন সমিতি কি তাঁকে সরে দাঁড়াতে বলেছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নকে যেন পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন জুকেরবার্গ। তাঁর কথায়, ‘‘এমন কোনও কথা আমার কানে আসেনি। তথ্যফাঁসের জন্য এখনও কাউকে বরখাস্ত করেনি ফেসবুক। একটা ভুলের জন্য কাউকে চলন্ত বাসের নীচে ফেলে দেওয়ার পক্ষপাতী আমি নই।’’
অভিযোগ উঠেছে, ফেসবুকের মাধ্যমে প্রায় ন’লক্ষ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য হাতে পেয়েছিল ব্রিটিশ সংস্থা কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা। সেই তথ্য নাকি ব্যবহার করা হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোটে জেতানোর জন্য। আগামী সপ্তাহেই সমস্ত অভিযোগের জবাব দেওয়ার জন্য জুকেরবার্গকে দাঁড়াতে হবে মার্কিন কংগ্রেসের বিশেষ কমিটির সামনে।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস তালিকায় গুরুত্ব দাউদকে
আরও পড়ুন: ইউটিউবের সদরে মেয়ে বন্দুকবাজ
যদিও ফেসবুকের সমস্যা যে দ্রুত মিটে যাবে, এমন আশ্বাস দেননি মার্ক জুকেরবার্গ। তাঁর কথায়, ‘‘এই ধরনের সমস্যার মোকাবিলার জন্য বেশ কিছু সময় দরকার।’’ তবে জুকেরবার্গ জানিয়েছেন, লড়াইটা তিনি চালিয়ে যাবেন।