‘ভূত’-এর সেই ফুটেজ। ছবি ও ভিডিও সৌজন্য ডেলি মেল।
সন্ধে হলেই আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে নানা ছুতোয় রাত কাটাচ্ছেন এক দম্পতি। তাঁদের দাবি, বাড়িতে অদ্ভুত কিছু ঘটনার জন্যই এ কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। কী এমন ঘটছে যার জন্য ঘরে থাকতেই পারছেন না ওই দম্পতি?
ফ্রান্সের কেন্টে স্টিফেন লি, জেমস এবং তাঁদের দুই পোষ্য সারমেয় দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই একটি বাড়িতে রয়েছেন৷ জানা গিয়েছে, এই বাড়িটির জায়গায় আগে একটি হাসপাতাল ছিল৷ বেশ কিছু দিন ধরেই বাড়ির পরিবেশ কেমন গা ছমছমে হয়ে উঠছিল৷ পাল্টে যাচ্ছিল পরিচিত বাড়িটার পরিবেশ।
সামনেই বড়দিন এবং বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের জন্য নিজেদের বাড়ি আলো আর ক্রিস্টমাস-ট্রি দিয়ে সাজিয়ে তুলেছেন তাঁরা। আর তার পর থেকে তাঁদের বসার ঘরে রাখা ওই ক্রিস্টমাস-ট্রি’কে ঘিরে যত উদ্ভট ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে।
ঘরে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায় রেকর্ড হওয়া কিছু ভিডিও ফুটেজ দেখে স্টিফেন আর জেমসের চোখ কপালে ওঠে। ফুটেজে ধরা পড়ে, রাতের বেলা তাঁরা বাড়ি ছেড়ে বেরনোর পর হঠাত্ই বদলে যাচ্ছে ক্রিস্টমাস ট্রিতে থাকা বাল্বে্র আলোর রঙ। কে যেন হেঁটে চলে বেড়াচ্ছে ঘরময়! তাঁদের বাড়ির পোষ্যগুলিও বেডরুম ছেড়ে বেরিয়ে এসে অজানা আতঙ্কে বাইরের বসার ঘরের এ দিকে ওদিকে ছুটে বেড়াচ্ছে। আবার মাঝে মধ্যে ঘরের জিনিসপত্র নিজে থেকেই পড়ে যাচ্ছে মাটিতে!
আরও পড়ুন: জ্বলছে বাড়ি, ২৪ তলা থেকে ঝুলছেন বাসিন্দা, ভিডিও ভাইরাল
স্টিফেন বলেন, “ফুটেজগুলো বারবার দেখেছি। ভাবতে চেষ্টা করেছি এই ঘটনাগুলোর পেছনে অন্য কোনও কারণ থাকতে পারে কিনা। নিজের চোখ-কানকে অস্বীকার করি কী করে বলুন!”
ভিডিও ফুটেজগুলো অনেকবার দেখার পর এই ঘটনাগুলোকে ‘ভূতুড়ে’ বলেই মেনে নিয়েছেন দু’জন। তাই সন্ধের পর আর বাড়িতে থাকার ঝুঁকি নিচ্ছেন না স্টিফেন আর জেমস। স্টিফেন-জেমসের লিভিং রুমের সেই ‘ভূতুড়ে’ কাণ্ডকারখানার ভিডিও ফুটেজ ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।