এখন যেখানে মানসিক চাপ ছাড়া একটা দিনও কল্পনা করা যায় না, সেখানে জানেন কি এমনও শহর রয়েছে যেখানে সবাই মানসিক চাপ ছাড়াই চলে! বা চাপ থাকলেও তার মাত্রা খুবই কম!
সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে জার্মানির স্টুটগার্ট শহরটির বাসিন্দাদে মানসিক চাপ খুবই কম। জিপজেট নামে ব্রিটেনের একটি অনলাইন সংস্থা বিশ্বজুড়ে ১৫০টি শহরের মধ্যে এই সমীক্ষা চালায়। তাতেই ২০১৭ সালে সবচেয়ে কম অবসাদগ্রস্ত শহর হিসেবে উঠে এসেছে স্টুটগার্ট।
কিসের উপর ভিত্তি করে এই সমীক্ষা? মোট ১৭টি বিষয়ের উপর দাঁড়িয়ে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। জনঘনত্ব, বিদ্যুতের কম খরচ, জাতি বৈষম্য, সবুজায়ন, বেকারত্ব, মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য, জন পরিবহণ, বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ, ট্রাফিক, পরিবারের গড় আয়, সামাজিক সুরক্ষা এবং লিঙ্গ সাম্যতা।
তালিকার একেবারে শেষে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ (১৫০)। অর্থাৎ এই সমীক্ষা অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে মানসিক চাপযুক্ত শহর বাগদাদ। আর বাগদাদের ঠিক উপরেই রয়েছে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল (১৪৯)।
তালিকার প্রথম দশের ৯টিই ইউরোপীয় শহর। লুক্সেমবার্গ (২), হ্যানোভার (৩) তো আছেই। এ ছাড়া মিউনিখ, ইডেনবার্গ, হ্যামবার্গের মতো শহরগুলি রয়েছে। তালিকায় প্রথম ১০ শহরের মধ্যে একমাত্র অ-ইউরোপীয় শহর অস্ট্রেলিয়ার সিডনি। এর অবস্থান ৮ নম্বরে।
আর ভারত? ভারতের তিনটি শহর এই তালিকায় শেষের দিকে জায়গা করে নিয়েছে। চিন এবং শ্রীলঙ্কার পরে। চিনের হংকং (৭৪), তিয়ানজিং (৮৭), সাংহাই (৯১), বেজিং (১০০)। ১২৬ নম্বরে রয়েছে শ্রীলঙ্কার কলম্বো।
ভারতের শহরগুলি কত নম্বরে আছে জানেন? বেঙ্গালুরু ১৩০ নম্বরে, কলকাতা ১৩১ নম্বরে এবং মুম্বই ১৩৮ নম্বরে, এবং নয়াদিল্লি ১৪২ নম্বরে রয়েছে। সমীক্ষা থেকে পরিষ্কার ভারতীয়দের মধ্যে মানসিক চাপ কতটা বেশি। কারণ তালিকায় জায়গা পেলেও চারটি শহরেরই ঠাঁই হয়েছে একেবারে শেষের দিকে।
ভারতের থেকেও আরও অবসাদগ্রস্ত দেশ পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ। তালিকায় পাকিস্তানের করাচি রয়েছে ১৪৩ নম্বরে। ঢাকা ১৪৪ নম্বরে আর তার পর কাবুল আর বাগদাদ।