নির্বাচনের ফল বেরোনোর পরে দলীয় এমপি-দের সঙ্গে প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলান্দ (প্রথম সারিতে বাঁ দিক থেকে দ্বিতীয়)। সঙ্গে বাম জোট এনএফপি-র জয়ী প্রতিনিধিরাও। ছবি: রয়টার্স।
ফ্রান্সের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে মঙ্গলবারই পার্লামেন্টে ‘ওরিয়েন্টেশন সেশন’-এর জন্য পৌঁছলেন বামপন্থী নিউ পপুলার ফ্রন্টের সদস্যেরা। পার্লামেন্টে ফিরলেন ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলান্দ-ও। এ দিনের আলোচনায় বার বার উঠে এল শরিকি বোঝাপড়া ও জোট গঠনের বিষয়টি।
ফরাসি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে আসন ৫৭৭টি। সেটির মধ্যে ১৮২টি আসনে জিতেছে নিউ পপুলার ফ্রন্ট। অন্য বামপন্থী দলগুলির আসন সংখ্যা ১২, সব মিলিয়ে বামপন্থীদের হাতে রয়েছে ১৯৪টি আসন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁর দল জিতেছে ১৬৮টি। মারিন ল্য পেন-এর ন্যাশনাল র্যালি ১৪৩টি আসনে জিতেছে। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে অন্তত ২৮৯টিতে জেতা দরকার, যা কোনও দলেরই নেই।
এখন ফ্রান্সে সব থেকে বেশি যেটা প্রয়োজন, সেটি হল প্রধানমন্ত্রীর পদে কে নিযুক্ত হবেন, তা ঠিক করা। তবে, নিউ পপুলার ফ্রন্টের গ্রিন পার্টি, সোশ্যালিস্ট পার্টি, কমিউনিস্ট ও অতি-বাম ফ্রান্স আনবাওড (এলএফআই)-এর সদস্যদের এখনও এই নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে, এই সপ্তাহের শেষেই প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থী হিসেবে কারও নাম সামনে আসতে চলেছে সেটা নিশ্চিত। সোশ্যালিস্ট পার্টির অলিভিয়ে ফোরের দাবি, তিনিই হতে চলেছেন সেই প্রার্থী। প্রসঙ্গত, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আটাল পদত্যাগপত্র জমা দিলেও মাকরঁ তা গ্রহণ করেননি।
এ দিকে, ফ্রান্সের রিপাবলিকান পার্টির নেতা এরিক সিয়োতি আবার মঙ্গলবারই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর দলের উচিত মারিনের সঙ্গে জোট তৈরি করা। যদিও, তাঁর দলের নেতারা এইমন্তব্য নাকচ করে জানিয়েছেন, উনি শুধু নিজের কথা বলছেন, দল সহমত নয়।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, জরুরি ভিত্তিতে তাড়াহুড়ো করে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির এই নির্বাচনের ঘোষণা করে আদতে ‘কপাল পুড়েছে’ মাকরঁর। নয়া সরকার গড়তে এখন বামপন্থীদের সঙ্গে হাত মেলানো ছাড়া উপায় নেই তাঁর। যার প্রভাব পড়বে ২০২৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে।