Pakistan Official Secrets Act Case

তোশাখানা মামলায় সাজা রদ হলেও ইমরান মুক্তি পাচ্ছেন না! নথি ফাঁসের অভিযোগে থাকবেন জেলে

গত বছরের গোড়ায় ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত একটি গোপন নথি ইসলামাবাদে পাঠান। অভিযোগ, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান এবং তাঁর তিন সহযোগী সেই নথি ফাঁস করেছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৩ ২০:০৩
Share:

প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। — ফাইল চিত্র।

ইসলামাবাদ হাই কোর্ট জামিনের আবেদন মঞ্জুর করলেও প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না। সরকারি সূত্রের খবর, ‘গোপন রাষ্ট্রীয় তথ্য ফাঁসের’ মামলায় ধৃত পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর চেয়ারম্যানকে আপাতত পঞ্জাবের অটক জেলে আটক হয়ে থাকতে হবে। ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ (ওএসএ)-এ ইমরান এবং তাঁর সহ-অভিযুক্তদের বিশেষ আদালতে বিচার চলছে। বুধবার তাঁকে সশরীরে আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

Advertisement

বিশেষ আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ জুলকারনাইন জামিনের আবেদন মঞ্জুর করলে তবেই ইমরান মুক্তি পাবেন বলে জেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার নেপথ্যে ‘ষড়যন্ত্র’ রয়েছে ইমরান শিবিরের অভিযোগ। ইমরানের আইনজীবী দলের তরফে নাঈম হায়দার পানজুথা মঙ্গলবার বিকেলে বলেন, ‘‘ইমরানকে যে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’-এ গ্রেফতার করা হয়েছে, তা আমাদের জানানোই হয়নি। পাকিস্তানের ফৌজদারি দণ্ডবিধি অনুযায়ী কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা তাঁর আইনজীবীকে জানানো বাধ্যতামূলক। এ ক্ষেত্রে তদন্তকারীরা আইন ভেঙেছেন।’’

প্রসঙ্গত, গত বছরের শুরুর দিকে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত একটি গোপন নথি ইসলামাবাদে পাঠান। অভিযোগ, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান এবং তাঁর তিন সহযোগী সেই নথি ফাঁস করেছিলেন। অন্য দিকে, তোশাখানা দুর্নীতির অভিযোগের সূত্রপাত গত বছর ইমরান ক্ষমতা হারানোর পরে। দুবাইয়ের এক ব্যবসায়ী দাবি করেন, বিদেশ থেকে ইমরানের উপহার পাওয়া ঘড়ি তিনি ২০ লক্ষ ডলারে কিনে নিয়েছিলেন। ওই ব্যবসায়ী জানান, ২০১৯ সালে যখন ইমরানের দল পাকিস্তানের শাসনক্ষমতায় ছিল, তখন সৌদি আরবের রাজা মহম্মদ বিন সলমন তাঁকে ওই বহুমূল্য ঘড়ি উপহার দিয়েছিলেন।

Advertisement

ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ইমরানকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রাক্তন পাক ক্রিকেট অধিনায়ক গত অক্টোবরে ইসলামাবাদ হাই কোর্টে আবেদন জানালেও আদালত তা খারিজ করে দিয়ে আদালতের বিচারপ্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে বলেছিল তাঁকে। এর পর গত মে মাসে ইসলামাবাদ পুলিশ লাইনসের বিশেষ আদালত ইমরানকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল।

গত ৫ অগস্ট ইসলামাবাদের বিশেষ আদালত তোশাখানা মামলায় ইমরানকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের জেলের শাস্তি ঘোষণার পরই গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। এর পর পাক আইন মেনে সে দেশের নির্বাচন কমিশন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর চেয়ারম্যান ইমরানের পাঁচ বছর ভোটে লড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাই কোর্ট নিম্ন আদালতের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে ইমরানের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement