India-Pakistan Conflicts

লাহোর চুক্তি ভেঙেছিল পাকিস্তানই: নওয়াজ়

ভারত-পাক কূটনীতিতে ১৯৯৮ সালের মে মাসের উত্তাপ ছিল মারাত্মক। ওই বছরের ১১ থেকে ১৩ মে ভারত প্রথমে তিনটি ও পরে আরও দু’টি পরীক্ষামূলক পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লাহোর শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২৪ ০৪:৩৩
Share:

পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ় শরিফ। —ফাইল চিত্র।

তাঁর সঙ্গে অটলবিহারী বাজপেয়ীর সই করা লাহোর ঘোষণাপত্র যে পাকিস্তানই ভেঙেছিল, সে কথা সরাসরি স্বীকার করে নিলেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ় শরিফ। বর্তমানে পাকিস্তানের প্রধান শাসক দল পিএমএল-এনের সভাপতি নওয়াজ়ের এই স্বীকারোক্তি আদতে ভারতের উদ্দেশে আস্থাবর্ধক সুরের ইঙ্গিত কি না সেই জল্পনা ছড়িয়েছে। কারণ নওয়াজ় স্পষ্ট বলেছেন, ভুল পাকিস্তানেরই। চুক্তি তারাই ভেঙেছিল।

Advertisement

ভারত-পাক কূটনীতিতে ১৯৯৮ সালের মে মাসের উত্তাপ ছিল মারাত্মক। ওই বছরের ১১ থেকে ১৩ মে ভারত প্রথমে তিনটি ও পরে আরও দু’টি পরীক্ষামূলক পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটায়। তার পাল্টা ওই মাসেরই ২৮ তারিখে পাকিস্তান পাঁচটি পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। আজ তারই ২৬তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে নওয়াজ় নিজের দলের সভায় বলেন, ‘‘১৯৯৮ সালের ২৮ মে পাকিস্তান পাঁচটি পরীক্ষামূলক পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। তার পরে বাজপেয়ী সাহেব এখানে এসে আমাদের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিলেন। কিন্তু আমরাই চুক্তি লঙ্ঘন করেছিলাম। ভুলটা আমাদের।’’

পরমাণু বিস্ফোরণের আবহে উত্তেজনা বাড়লেও পারিপার্শ্বিক কূটনৈতিক পরিস্থিতিতে দ্রুত তা প্রশমনেও উদ্যোগী হয়েছিল দুই দেশ। পরের বছরেই চালু হয়েছিল দিল্লি-লাহোর বাস। ১৯৯৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সেই রুটের প্রথম বাসে চড়ে লাহোরের শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিতে পাকিস্তানে যান বাজপেয়ী। ২১ ফেব্রুয়ারি নওয়াজ় শরিফের সঙ্গে লাহোর ঘোষণাপত্রে সই করেন তিনি। শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখাই ছিল সেই চুক্তির মূল সুর। অথচ চুক্তির তিন মাসের মধ্যেই বেধে যায় কার্গিল যুদ্ধ। কারণ, নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতের এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে বসেছিল পাক সেনা। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, নওয়াজ় আজ নাম না-করে লাহোর চুক্তিভঙ্গের দায় কার্যত তৎকালীন পাক সেনাপ্রধান পারভেজ় মুশারফের দিকে ঠেলেছেন। বার বারই দেখা গিয়েছে, রাজনৈতিক স্তরে ভারত-পাক আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ হলেই পাক সেনা ও আইএসআই তা ভেস্তে দেওয়ার মতো কিছু করে বসে।

Advertisement

আজ নওয়াজ় আরও বলেন, ‘‘তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন পাকিস্তানকে ৫০০ কোটি ডলার দিতে চেয়েছিলেন, যাতে পারমাণবিক পরীক্ষা না করি। কিন্তু আমি রাজি হইনি। ইমরান খানের মতো কেউ কুর্সিতে থাকলে রাজি হয়ে যেতেন।’’ ২০১৭ সালে তাঁর সরকারের পতন এবং ইমরানের ক্ষমতায় আসার নেপথ্যে আইএসআইয়ের প্রাক্তন প্রধান জ়াহিরুল ইসলামের কলকাঠি নাড়ার অভিযোগ তুলে সরব হন নওয়াজ়। চ্যালেঞ্জ ছোড়েন, ইমরান কি অস্বীকার করবেন যে, আইএসআই
তাঁকে মদত দিয়েছিল?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement