শেখ হাসিনা। —ফাইল চিত্র।
জনবিক্ষোভের জেরে গত ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বোন রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে বিমানে ঢাকা থেকে উত্তরপ্রদেশের হিন্ডন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে চলে এসেছিলেন হাসিনা। ঠিক কোন ‘ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাসে’ তিনি ভারতে রয়েছেন (কিংবা ছিলেন), সে বিষয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকার কিছু জানায়নি। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট ছিল। ভারত-বাংলাদেশ সমঝোতা অনুযায়ী কূটনৈতিক (ডিপ্লোম্যাটিক) বা সরকারি (অফিশিয়াল) পাসপোর্ট থাকলে বাংলাদেশের কোনও নাগরিক অন্তত ৪৫ দিন কোনও ভিসা ছাড়াই ভারতে অবস্থান করতে পারেন। কিন্তু মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার অগস্টের শেষপর্বে হাসিনার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছিল।
বস্তুত, এর পরেই আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ভারতে অবস্থান নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়েছিল। ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। দেশের স্বরাষ্ট্র ও আইন—এই দুই উপদেষ্টার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, হাসিনাকে এখনই দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে পদক্ষেপ করা।’’