শেখ হাসিনা। —ফাইল চিত্র।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিলেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নষ্ট হবে না বলে স্পষ্ট করে দিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ সংক্রান্ত উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
আজ এক বৈঠকে ভারতীয় হাই কমিশনার ও চিনা রাষ্ট্রদূত-সহ প্রায় ৬৫টি দেশের কূটনীতিকদের বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন তৌহিদ। সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন, হাসিনা ভারতে থাকায় দুই দেশের সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দেবে কি না। তৌহিদ বলেন, ‘‘এক জন যদি কোনও এক দেশে গিয়ে থাকে, তা হলে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে কেন? তার তো কোনও কারণ নেই। দ্বিপাক্ষিক বিষয় কিন্তু অনেক বড় বিষয়। ভারতের স্বার্থ আছে, ভারতে আমাদের স্বার্থ আছে। কাজেই আমরা সেই স্বার্থকে অনুসরণ করব। আমাদের সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা থাকতে হবে।’’ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস গত রাতে ছাত্রদের সঙ্গে এক বৈঠকের পরে হাসিনার দেশত্যাগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘দানবের বিদায় হয়েছে।’’ সাম্প্রতিক অশান্তির পরে মেহেরপুরের মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সের একটি বিশেষ ভাস্কর্য অক্ষত আছে কি না, সেই চর্চা উস্কে দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। মুক্তিযুদ্ধের শেষে পাক সেনাকর্তা এ কে নিয়াজ়ির আত্মসমর্পণের দৃশ্যটি মর্মর-ভাস্কর্যে ধরে রাখা হয়েছিল মুজিবনগর কমপ্লেক্সে। এ দিন এক্স হ্যান্ডলে শশী ওই চত্বরের দু’টি ভাস্কর্যের ছবি পোস্ট করেন। একটি ভাস্কর্য নিয়াজ়ির আত্মসমর্পণের। অন্যটিতে দেখানো হয়েছে পাক সেনার গণহত্যা। শশী লেখেন, ‘ভারত-বিরোধীরা মুজিবনগরের মূর্তিগুলি এমন ভাঙচুর করেছে, তার ছবি দেখে খারাপ লাগছে।’
গত ৫ অগস্ট মুজিবনগর কমপ্লেক্সের কয়েকশো ভাস্কর্য গুঁড়িয়ে দিয়েছিল হামলাকারীরা। কিন্তু নিয়াজ়ির আত্মসমর্পণের ভাস্কর্যটিও ভাঙা পড়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। নীরজ রাজপুত নামে এক ব্যক্তির দাবি, শশীর পোস্টে যে মূর্তিগুলিকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে, সেগুলি বরাবরই শায়িত ছিল। ২০১৮ সালে তিনি সেটির ছবি পোস্ট করেছিলেন। এক্সের প্রোফাইলে নিজেকে একটি সংবাদ সংস্থার প্রধান সম্পাদক বলে পরিচয় দেওয়া নীরজের বক্তব্য, ‘ভুয়ো বয়ানের ফাঁদে পড়বেন না।’ এ দিকে, বাংলাদেশের ৯০ শতাংশের বেশি থানা কাজ শুরু করেছে বলে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান জানান। তিনি বলেন, “পুলিশ যখন সুন্দর ভাবে কাজ শুরু করবে, তখন সেনানিবাসে ফেরত যাব।”