বাধা দুই রিপাবলিকানের

আবার হোঁচট ‘ট্রাম্পকেয়ারে’

তড়িঘড়ি ওবামাকেয়ার বাতিল করে তার পরিবর্তে আবারও নয়া বিল পাশের প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প। সেটাও মুখ থুবড়ে পড়বে বলে মনে করছেন মার্কিন কূটনীতিকরা। ট্রাম্পের নয়া স্বাস্থ্যবিল প্রস্তাব প্রতিনিধি পরিষদে পাশ হলেও, সেনেট তা প্রত্যাখান করে সংশোধনের জন্য পাঠায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৭ ০৩:১০
Share:

পুরোপুরি বাতিল না হোক, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার চালু করা স্বাস্থ্যবিমায় আমূল সংস্কার আনতে চেয়ে সম্প্রতি সেনেটের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ট্রাম্প। প্রয়োজনীয় সমর্থন জোটাতে না পেরে আজ আটকে গেলেন সেখানেও। বেঁকে বসলেন তাঁর নিজেরই দলের দুই সেনেটর। যাঁদের দাবি, ওবামাকেয়ারের বদলে ট্রাম্প যে পরিষেবা আনার কথা বলছেন, তা যথেষ্ট নয়। এতে ব্যাপক গন্ডগোল বাধার আশঙ্কা রয়েছে স্বাস্থ্যবিমা-বাজারেও।

Advertisement

তাই মার্কিন কূটনীতিকদের একাংশ বলছেন, এখন পরিস্থিতি কোনও ভাবেই ট্রাম্পের অনুকূলে নয়। অঙ্কটা বুঝতে পেরেছেন প্রেসিডেন্ট নিজেও। আর সম্ভবত সেই কারণেই, টুইটারে আজ তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘‘দেশের কল্যাণেই সবার সহযোগিতা চেয়েছিলাম। কিছু রিপাবলিকান আর সব ডেমোক্র্যাট সেনেটর মিলে গোটা পরিকল্পনাটাই ভেস্তে দিল।’’ এ বার তা হলে কী? তড়িঘড়ি ওবামাকেয়ার বাতিল করে তার পরিবর্তে আবারও নয়া বিল পাশের প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প। সেটাও মুখ থুবড়ে পড়বে বলে মনে করছেন মার্কিন কূটনীতিকরা। ট্রাম্পের নয়া স্বাস্থ্যবিল প্রস্তাব প্রতিনিধি পরিষদে পাশ হলেও, সেনেট তা প্রত্যাখান করে সংশোধনের জন্য পাঠায়। সংশোধিত বিলটি গত সপ্তাহেই পেশ করা হয়েছিল।

দেশের অনেক বেশি সংখ্যক মানুষকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনতে ‘পেশেন্ট প্রোটেকশন অ্যান্ড অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট’ এনেছিল ওবামা প্রশাসন। যা ‘ওবামাকেয়ার’ নামেই পরিচিত। যে সংস্থায় ৫০-এর বেশি কর্মী, তাঁদের সবাইকে বিমার আওতায় আনার কথা বলা হয়েছিল এই বিলে। কিন্তু এতে সরকারি তহবিলের উপর চাপ বেড়েছে বলে গোড়া থেকেই সুর চড়িয়ে আসছিলেন রিপাবলিকানরা। এতে দেশের কর্মসংস্থানের উপরেও পরোক্ষে চাপ বাড়ছে বলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে বিষয়টিকে হাতিয়ার করেন ট্রাম্পও। তার পর হোয়াইট হাউসে আসার দ্বিতীয় দিনেই ওবামাকেয়ারের প্রভাব কাটাতে চেয়ে সই করেন বিশেষ প্রশাসনিক নির্দেশিকায়।

Advertisement

সে বার মার্কিন কংগ্রেসে এ নিয়ে সমর্থন না-জোটা যে অমূলক নয়, তা ফের প্রমাণ হয়ে গেল আজ। ১০০ সদস্যের সেনেটে রিপাবলিকান সেনটরের সংখ্যা ৫২। যার মধ্যে দু’জন বেঁকে বসেছিলেন আগেই। আজ আরও দু’জন। অর্থাৎ বিরোধিতার পাল্লা ভারী হলো ডেমোক্র্যাটদেরই!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement