International News

নতুন চাকরি পেলেই এইচওয়ান-বি ভিসাধারীরা ‘আউট অব স্টেটাস’ হয়ে যাচ্ছেন আমেরিকায়

যুক্তি দেখাচ্ছে, নতুন কর্মক্ষেত্রের পদটি ‘দক্ষ পেশাদারের চাকরি’ নয়। এখানেই শেষ নয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:৪৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

এইচ-ওয়ান-বি ভিসা নিয়ে যাঁরা চাকরি করছেন আমেরিকায়, তাঁদের পক্ষে নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়াটা উত্তরোত্তর কঠিন হয়ে পড়ছে। নতুন সংস্থার মালিক যেই চাকরিপ্রার্থীর ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জানাচ্ছেন, অভিযোগ, তখনই তা আটকে দিচ্ছে মার্কিন সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস দফতর (ইউএসসিআইএস)। যুক্তি দেখাচ্ছে, নতুন কর্মক্ষেত্রের পদটি ‘দক্ষ পেশাদারের চাকরি’ নয়। এখানেই শেষ নয়।

Advertisement

পর্যাপ্ত শিক্ষিত ও দক্ষ কর্মীর অভাব মেটাতেই এইচ-ওয়ান-বি ভিসা দিয়ে অন্য দেশের নাগরিকদের নিয়ে যাওয়া হয় মার্কিন মুলুকে। কিন্তু সেই ভিসার একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। সেই মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে ভিসার পুনর্নবীকরণ করাতে হয়। না হলে, যাঁর সেই ভিসা রয়েছে, তিনি ‘আউট অব স্টেটাস’ হয়ে যান আমেরিকায়। যার অর্থ, তাঁকে তখন বাধ্যতামূলক ভাবে দেশে ফিরে আসতে হবে। শুধু তাই নয়, তার পরের তিন থেকে দশ বছরের মধ্যে তাঁকে আর মার্কিন এইচ-ওয়ান-বি ভিসা দেওয়া হবে না।

অভিযোগ, নতুন চাকরিতে যোগ দিতে গেলেই এইচ-ওয়ান-বি ভিসাধারীদের ‘আউট অফ স্টেটাস’ ঘোষণা করে দেওয়া হচ্ছে। ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যেতে যদি হাতে কিছুটা সময় থাকে, তা হলে নতুন সংস্থার মালিকদের আবেদন খারিজ করতেও সময় নিচ্ছে মার্কিন অভিবাসন দফতর। যাতে ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে চাকরিপ্রার্থী আপনাআপনিই ‘আউট অব স্টেটাস’ হয়ে যান।

Advertisement

আরও পড়ুন- জঙ্গি হামলার জের, শ্রীলঙ্কায় নিষিদ্ধ বোরখা ও মুখঢাকা পোশাক​

আরও পড়ুন- ‘আমাদের সম্পর্কটা লোহার মতো শক্ত’, বেজিংয়ে ইমরানের সঙ্গে বৈঠকের পর বললেন শি​

সম্প্রতি এমন একটি ঘটনার শিকার হয়েছেন ঊষা সাগরওয়ালা নামে এক ভারতীয় নাগরিক। ২০১২ সাল থেকে তিনি এইচ-ওয়ান-বি ভিসা নিয়ে চাকরি করছেন মার্কিন মুলুকে। গত বছর তিনি নতুন একটি চাকরিতে যোগ দিতে চাইছেন বলে জানান মার্কিন অভিবাসন দফতরকে। তাঁর নতুন সংস্থার মালিকও ঊষার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি জানান অভিবাসন দফতরের কাছে। কিন্তু সেই পদটি ‘দক্ষ পেশাদারের চাকরি নয়’, এই যুক্তিতে সেই আবেদন খারিজ করে দেয় মার্কিন অভিবাসন দফতর।

ঊষা দ্বারস্থ হন আদালতের। কিন্তু ঊষা অভিবাসন দফতরের সিদ্ধান্তের ফলে আর্থিক ভাবে ঠিক কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তা জানাননি, এই যুক্তিতে বিষয়টির শুনানিতে আপত্তি জানায় আদালত।

এই সমস্যা আগেও যে ছিল না, তা নয়। তবে এইচ-ওয়ান-বি ভিসা নিয়ে যাঁরা রয়েছেন মার্কিন মুলুকে, তাঁদের অনেকেরই অভিযোগ, সেই সমস্যাটা এখন অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে। এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার একটাই রাস্তা খোলা রয়েছে। সেটা হল, পাকাপাকি ভাবে আমেরিকায় থাকার জন্য গ্রিন কার্ড পাওয়া। কিন্তু তার জন্য যা লাইন, তাতে ভারতের মতো দেশের কোনও আবেদনকারীর হাতে গ্রিন কার্ড পৌঁছতে ৫০ বছর সময়ও লেগে যেতে পারে বলে হালে একটি সমীক্ষা জানিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement