ফাইল চিত্র।
প্রায় চার মাস হতে চলল। এখনও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। জেলেনস্কির দেশের বেশ কিছু এলাকা কব্জা করে ফেলেছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সৈন্যদল। প্রত্যাঘাত করতে চেষ্টার কসুর করছে না কিভ। এই অবস্থায় প্রথম বার মস্কোর দখলে থাকা ইউক্রেনের শহরের বাসিন্দাদের রাশিয়ার পাসপোর্ট বিতরণ করা হল। যুদ্ধের আবহে যা উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।
রাশিয়ার সংবাদসংস্থা ‘তাস’ সূত্রে জানা গিয়েছে, মস্কোর দখলে থাকা দক্ষিণ ইউক্রেনের খারসন শহরের ২৩ জন বাসিন্দার হাতে পুতিনের দেশের পাসপোর্ট তুলে দেওয়া হয়েছে। মস্কোপন্থী আঞ্চলিক প্রশাসক ভ্লাদিমির সালদো বলেন, ‘‘খারসনের সকল বাসিন্দা পাসপোর্ট চেয়েছিলেন। যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের নাগরিকত্ব (রাশিয়া) দেওয়া হবে।’’ আরআইএ নভোস্তি সংবাদসংস্থাকে সালদো বলেছেন, ‘‘আমাদের জন্য এটা একটা নতুন অধ্যায় শুরু হল...কোনও এক ব্যক্তির কাছে এটা জরুরি নথি।’’
খারসন কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, পাসপোর্ট বিতরণের জন্য রাশিয়া দিবসকে বাছা হয়েছিল। এই দিনটি এ বার রবিবার। আজকের দিনেই সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীন হয়েছিল রাশিয়া। আজকের দিনটি সে দেশে সরকারি ছুটি হিসেবে পালন করা হয়।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রুশ বাহিনী। তারপর থেকে দুই দেশের যুদ্ধে সরগরম হয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। খারসন অঞ্চলের অধিকাংশ এলাকা দখল করে ফেলেছে পুতিনের সেনা। রুশ আগ্রাসনে কার্যত বিপর্যস্ত ইউক্রেন। এতদিন সাবেক সোভিয়েত ও পরবর্তীকালে রাশিয়ার তৈরি যে অস্ত্রের সম্ভার কিভের হাতে ছিল, গত কয়েক মাসের যুদ্ধে তার সংখ্যা তলানিতে ঠেকেছে। আর সে কারণেই আর ‘শত্রু’ দেশের তৈরি হাতিয়ার নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে নামতে রাজি নন জেলেনস্কি, মার্কিন সেনাবাহিনী সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। মার্কিন সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিন মাস ধরে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনের সেই অস্ত্রভাণ্ডার কার্যত ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তাই আমেরিকা ও ন্যাটোভুক্ত দেশগুলির দেওয়া অস্ত্র ব্যবহারে বর্তমানে জোর দিচ্ছে কিভ।