—প্রতীকী চিত্র।
অস্ট্রেলিয়ায় যে মানবশিশুর দেহে এইচ৫এন১ বার্ড ফ্লু পাওয়া গিয়েছিল, সে ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতা ঘুরে গিয়েছিল বলে জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শুক্রবার তারা জানায়, শিশুটি ফেব্রুয়ারির ১২ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত কলকাতায় ছিল। বার্ড ফ্লু-র সংক্রমণ তবে তার দেহে কলকাতা থেকে হয়েছে কি না, এই প্রশ্ন যথারীতি উঠেছে। তবে শিশুর পরিবারের দাবি, কলকাতায় কোনও সংক্রমিত ব্যক্তি বা পশুপাখির সংস্পর্শে তাঁরা আসেননি।
ওই শিশুটিই অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম মানবদেহে বার্ড ফ্লু সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা। ১ মার্চ শিশুটি তার পরিবারের সঙ্গে দেশে ফেরে। ২ মার্চ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। দু’সপ্তাহ সে চিকিৎসাধীন থেকে সুস্থ হয়ে ওঠে। ২২ মে পর্যন্ত পাওয়া খবরে, তার পরিবার তথা নিকটজনের অন্য কারও দেহে সংক্রমণ মেলেনি। ওই দিনই, অর্থাৎ ২২ মে তারিখেই অস্ট্রেলিয়া মানবদেহে বার্ড ফ্লু সংক্রমণের বিষয়টি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানায়। শিশুটি যে ভারতে গিয়েছিল, উল্লেখ করা হয় তা-ও। শিশুটিকে পরীক্ষা করে, তার জিন সিকোয়েন্সিং করে ভাইরাসটি এইচ৫এন১-এর সাবটাইপ বলে চিহ্নিত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সে খবর জানায়। এই ভাইরাসটি দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে উপস্থিত এবং একাধিক ক্ষেত্রে মুরগির খামার থেকে তা মানবদেহে ছড়ানোর ঘটনাও ঘটেছে।
জনস হপকিন্স সেন্টার ফর হেলথ সিকিয়োরিটি-র সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ অমেশ আদালজা বলেছেন, ‘‘যদিও অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে, তবু ওই শিশু কোনও হাঁস-মুরগি বা অন্য পাখির সংস্পর্শে এসেছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। অথবা সে যেখানে ছিল, তার আশেপাশে এইচ৫এন১-এর সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল কি না, জানা দরকার।’’ অর্থাৎ সে ক্ষেত্রে কলকাতায় এমন কোনও সংক্রমণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কি না, সেটাও তদন্তের আওতায় এসে পড়ার কথা। অমেশের মতে, এই ভাইরাস চট করে মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয় না। সে ক্ষেত্রে পশুপাখির সংস্পর্শের দিকটিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে বলে মনে করা হচ্ছে।