ফাইল চিত্র।
ফেসবুকের মূল সংস্থা ‘মেটা প্ল্যাটফর্মস’-এর বিরুদ্ধে ১৫ হাজার কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করল রোহিঙ্গাদের কয়েকটি সংগঠন। বিদ্বেষ ও ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর মাধ্যমে মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের গণহত্যায় মদত দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে ফেসবুকের মূল সংস্থাটির বিরুদ্ধে। একই অভিযোগ এনে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে লন্ডনে ফেসবুকের দফতরেও।
বৌদ্ধ অধ্যুষিত মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের বাসিন্দা রোহিঙ্গারা মূলত মুসলিম। বহু বছর ধরেই তাঁদের উপরে অত্যাচার চালিয়ে এসেছে সেনাবাহিনী। ২০১৭-এর অগস্টে শুরু হয় গণহত্যা। সেনাবহিনীর মদতে সেই হত্যাকাণ্ডে যোগ দেয় সাধারণ মানুষও। অভিযোগ, সেই সময়ে রোহিঙ্গা-বিরোধী অসংখ্য বিদ্বেষমূলক ও ভ্রান্ত পোস্ট ছড়িয়েছিল ফেসবুকে। কিন্তু ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সে বিষয়ে সম্পূর্ণ উদাসীন ছিলেন। তখন বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের তরফ থেকে ফেসবুককে অনুরোধ করা হয়েছিল, তারা যেন এই সব পোস্ট দ্রুত সরিয়ে দেয়। কিন্তু সেই দাবিতে কর্ণপাত করেনি মার্ক জ়াকারবার্গের সংস্থাটি। গণহত্যার হাত থেকে বাঁচতে তখন মায়ানমার থেকে পালিয়েছিলেন ৭ লক্ষ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা।
এর আগে রাষ্ট্রপুঞ্জের করা একটি তদন্তে-রিপোর্টে রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচারে ফেসবুকের পরোক্ষ ভূমিকার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছিলেন, সে সময়ে ঘৃণা ও হিংসা নিয়ন্ত্রণে তাঁরা পর্যাপ্ত ভূমিকা নিতে পারেননি।