আজব ঘটনার কথা তো কতই শোনা যায়। তবে জানেন কি, আস্ত একটা সাইকেল খেয়েও কেউ দিব্যি সুস্থ রয়েছেন! বা দু’চোখের পাতা এক না করেও কেউ কাটিয়ে দিচ্ছেন ৪৬ বছর। এমন অবিশ্বাস্য কাণ্ডকারখানা জানতে চোখ রাখুন গ্যালারির পাতায়।
তাই এনগকের নাম বোধহয় অনেকেই শোনেননি। ৪৬ বছর ধরে না-ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন এনগক। ভিয়েতনামের ৭৭ বছরের এই বৃদ্ধ নাকি ১৯৭৩-র পর থেকে আর ঘুমোননি। এমনটা দাবি সে দেশের সংবাদ সংস্থা তানহ নিয়েন-এর। তবে এত বছর ধরে দু’চোখের পাতা এক না করলেও দিব্যি সুস্থ রয়েছেন এনগক।
দিব্যি বেঁচেবর্তে রয়েছেন। তবে সরকারি ভাবে ‘মৃত’। খানিকটা এমনই হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের লালবিহারীর সঙ্গে। ঋণের আবেদন করার সময় বিষয়টা নজরে আসে। ১৯৭৬ সাল থেকে রাজস্ব বিভাগের রেকর্ডে তাঁর স্টেটাস ছিল ‘মৃত’। দীর্ঘ ১৯ বছরের আইনি লড়াইয়ের পর সরকারি ভাবে ফের ‘বেঁচে’ ওঠেন লালবিহারী। মামলা জিতে প্রমাণ করেন, তিনি জীবিত।
স্টিভেন স্পিলবার্গের ‘দ্য টার্মিনাল’ ফিল্মটা মনে আছে? রাতারাতি দেশহীন হয়ে নিউ ইয়র্কের বিমানবন্দরে ‘বন্দি’ হয়ে পড়েছিলেন ভিক্টর নাভরোস্কি। এমনই ঘটেছিল ইরানের শরণার্থী মেহরান করিমি নাসেরি-র সঙ্গে। নথিপত্র অবৈধ হওয়ায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য আটকে ছিলেন প্যারিসের বিমানবন্দরে। স্পিলবার্গের ফিল্মটি ওই ঘটনার ছায়ায় তৈরি।
রেস্তরাঁয় গেলেই খাবারদাবারের ছবি তুলে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে দেন? এমনটা তো অনেকেই করেন। তবে জাপানের ইয়োশইরো নাকামাৎসু এমনটাই করছেন গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে। যে খাবারই খান না কেন, তার ছবি তুলে রাখেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের জন্য নয়, খাবারের অ্যানালিসিস করার জন্যই নাকি এমন অভ্যাস নাকামাৎসুর!
পান থেকে চুন খসলেই অনেকেই আইন-আদালতের ভয় দেখান। তবে আমেরিকার টিমোথি দামোশেল কবেই আপনাদের ছাপিয়ে গিয়েছেন। ২০১৪-এ কেব্ল টিভি সংস্থাকে আদালতে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন টিমোথি। তাঁর অভিযোগ, টিভির সামনে সারা ক্ষণ বসে থাকায় স্ত্রীর ওজন বেড়ে গিয়েছে। আর এর জন্য দায়ী টিভি সংস্থাই!
মিশেল লোলিতো খেতে খুব ভালবাসতেন। তবে আমার-আপনার মতো খাবার নয়। ফ্রান্সের এই নাগরিক চেখে দেখেছেন রাবার, কাচ, ধাতব পদার্থও। ছোটখাটো গাড়ি, সাইকেল থেকে শুরু করে এক বার আস্ত একটা বিমানও খেয়ে ফেলেছিলেন, দাবি মিশেলের। তা-ও ৫৭ বছর পর্যন্ত দিব্যি বেঁচেবর্তে ছিলেন তিনি। ২০০৭ সালে মারা যান তিনি।
সারা মুখ জুড়েই গজিয়েছে চুল। তাইল্যান্ডের মেয়ে সুপত্রা সাসুফানের এমন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা সময় খুব ছড়িয়েছিল। অ্যামব্রাস সিনড্রোমের কারণেই এমনটা হয়েছে সুপত্রার। ২০১০-এ ‘ওয়ার্ল্ডস হেয়ারিয়েস্ট গার্ল’ নামে গিনেস রেকর্ড করেন তিনি।
ছোট থেকেই সঞ্জু ভগতের পেটটা অনেকটা বাইরে ঝুলে থাকত। অনেকেই তাঁকে অন্তঃসত্ত্বা বসে খ্যাপাতেন। ৩৬ বছর বয়সে শ্বাসের সমস্যা শুরু হওয়ায় মুম্বইয়ের হাসপাতালে ভর্তি হন সঞ্জু। চিকিৎসকেরা ভেবেছিলেন তাঁর পেটে টিউমার হয়েছে। তবে অস্ত্রোপচারের সময় দেখা যায়, তাঁরই যমজ ভাইয়ের ভ্রূণ রয়েছে তাঁর শরীরে।