ফাইল চিত্র।
রোগে জর্জরিত, শারীরিক ভাবে দুর্বল বাসিন্দাদের কোভিড টিকার বুস্টার ডোজ় দেওয়ার পরিকল্পনা ছিলই আমেরিকার। আজ তাতে অনুমতি দিল ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। এর পর ‘দ্য সেন্টারস ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ (সিডিসি) ছাড়পত্র দিলেই বুস্টার ডোজ় দেওয়া চালু হয়ে যাবে।
এফডিএ-র কমিশনার জ্যানেট উডকক বলেন, ‘‘যাঁদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁদের কথা মাথায় রেখেই বুস্টার ডোজ়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেমন, কারও অঙ্গ প্রতিস্থাপন হয়েছে বা অন্য কোনও শারীরিক জটিলতা রয়েছে, তাঁদের ফাইজ়ার-বায়োএনটেক ও মডার্নার তৃতীয় ডোজ় দেওয়া হবে। অন্যদের জন্য দু’টি ডোজ়ই যথেষ্ট।’’ এ বিষয়ে এফডিএ জোর দিয়ে জানিয়েছে, সুস্থ ব্যক্তিরা কোভিড টিকার দু’টি ডোজ়েই আপাতত ‘যথেষ্ট নিরাপদ’।
বুস্টার ডোজ় চালু হওয়ার জন্য এফডিএ-র অনুমতি যথেষ্ট নয়। এর পর সিডিসি-র ছাড়পত্র চাই। আগামী সিডিসি-র টিকা উপদেষ্টা কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে এফডিএ-র। তারা সবুজ সঙ্কেত দেখালেই বুস্টার ডোজ় প্রয়োগ চালু হয়ে যাবে।
হোয়াইট হাউসের মুখ্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অ্যান্টনি ফাউচি এই সিদ্ধান্ত হুট করে নেওয়া হয়নি। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, এই ধরনের জটিল অসুখে আক্রান্তদের জন্য কোভিড টিকার দু’টি ডোজ় যথেষ্ট নয়। তিনি আরও জানান, এমন বাসিন্দার সংখ্যা আমেরিকার মোট জনসংখ্যার মাত্র ২.৭%। কিন্তু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কোভিড-আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৪৪% এঁরাই।
ডেল্টা-সংক্রমণে নতুন করে বিপর্যস্ত আমেরিকা। দৈনিক সংক্রমণ ফের ১ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের এই অংশটিকে অরক্ষিত অবস্থায় রাখতে চায় না সরকার। তবে ফাউচির কথায় এই ইঙ্গিত-ও মিলেছে, পরে সকলকেই বুস্টার ডোজ় নিতে হবে।
গত সপ্তাহেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) প্রথম বিশ্বের দেশগুলিকে বুস্টার ডোজ় দেওয়া বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল। ইজ়রায়েল, ফ্রান্স ইতিমধ্যেই বুস্টার ডোজ় দেওয়া শুরু করে দিয়েছে। হু-র অভিযোগ, ‘‘টিকার সমবণ্টন হচ্ছে না। দরিদ্র দেশগুলো ভ্যাকসিন পাচ্ছে না। এ দিকে, ধনী দেশগুলো দু’টো ডোজ়ের পরে বুস্টার ডোজ় দেওয়াও শুরু করে দিচ্ছে। এটি অনৈতিক কাজ!’’