—প্রতীকী চিত্র।
ফ্রান্সের জাতীয় নির্বাচনের প্রথম দফায় এগিয়ে রইল অতি দক্ষিণপন্থীরা। তারা তিন ভাগের এক ভাগ ভোট পেয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে বামপন্থীদের জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট কোয়ালিশন। তিন নম্বরে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁর মধ্যপন্থী জোট।
রবিবার ফ্রান্সে প্রথম দফার ভোট গ্রহণ হয়েছে। ভোটদানের হার ছিল ৬৮%। মারিন ল্য পেনের অতি দক্ষিণপন্থী ন্যাশনাল র্যালি ও তাদের জোটসঙ্গী দ্য রিপাবলিকান পার্টি পেয়েছে প্রায় ৩৩% ভোট। বামপন্থী জোটের ঝুলিতে গিয়েছে ২৮ শতাংশের মতো ভোট। আর মাকরঁ দল ভোট পেয়েছে ২০ শতাংশের কাছাকাছি। যে সমস্ত প্রার্থী ৫০ শতাংশ বা তার বেশি ভোট পেয়েছেন, সরাসরি নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা। বাকি আসনগুলিতে বেশি ভোট পাওয়া দু’তিন জন প্রার্থীর মধ্যে ৭ জুলাই ফের নির্বাচনী লড়াই হবে। ন্যাশনাল র্যালির তাতেও এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা। তবে ৫৭৭ আসনের মধ্যে ২৮৯টিতে জিতে তারা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে কি না, তা নিয়েই চলছে চর্চা।
এই পরিস্থিতিতে অতি দক্ষিণপন্থীদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আটকাতে মরিয়া বিরোধীরা। বামপন্থী জোট জানিয়েছে, যে সমস্ত আসনে তাদের প্রার্থীরা তৃতীয় স্থানে রয়েছেন, সেখানে তারা লড়াই থেকে সরে দাঁড়াবে। কয়েকটি আসনে একই ভাবে প্রার্থী প্রত্যাহারের কথা বলেছেন মাকরঁরাও। তার পরেও যদি ন্যাশনাল র্যালি জেতে, মাকরঁ তাদের থেকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করতে বাধ্য হবেন। প্রেসিডেন্ট পদে তাঁর মেয়াদ রয়েছে ২০২৭ সাল পর্যন্ত। মাকরঁ সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পদত্যাগ করবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।
আলাদা দলের হাতে পার্লামেন্টের উচ্চ ও নিম্নকক্ষে রাশ এ পর্যন্ত বার তিনেক ছিল ফ্রান্সে। সর্বশেষটি ১৯৯৭ থেকে ২০০২ সালের মাঝের সময়পর্বে। নিম্নকক্ষ বিরোধী দলের দখল থাকলে প্রেসিডেন্টের পদটি দুর্বল হয়ে যায়। আইন প্রণয়নের ব্যাপারে নিম্নকক্ষই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। তবে বিদেশনীতি বা প্রতিরক্ষার মতো বেশ কিছু বিষয়ে প্রেসিডেন্টই শেষ কথা বলেন। পরমাণু অস্ত্রের রাশও থাকে তাঁরই হাতে।