ছবি রয়টার্স।
মোট করোনা সংক্রমিতের সংখ্যার হিসেবে প্রায় এক বছর হয়ে গেল প্রথম স্থানে রয়েছে আমেরিকা। সংক্রমণ কমলেও সেই স্থান কেউ নিতে পারেনি। দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমেছিল মাঝে। ফের প্রথম সারিতে উঠে এসেছে তারা। সৌজন্যে দেশের দক্ষিণ অংশের বাসিন্দাদের টিকা নেওয়ার প্রতি অনীহা। এমনটাই বলছে প্রশাসন।
‘বেলর কলেজ অব মেডিসিন’-এর ন্যাশনাল স্কুল অব ট্রপিকাল মেডিসিনের প্রধান পিটার হোটেজ় বলেন, ‘‘দক্ষিণে যা হচ্ছে, তা সত্যিই অশুভ ইঙ্গিত। ফ্লরিডা ও লুইজ়িয়ানার সংক্রমণ হার বোধহয় গোটা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি!’’
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যবেক্ষণ— বসন্তের সময়ে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছিল। এ সময়ে ভ্যাকসিন বেশ সহজলভ্য হয়ে যায় আমেরিকায়। দৈনিক টিকাকরণ হার ছিল ভাল। এতে সংক্রমণ এক ধাক্কায় অনেক কমে যায়। কিন্তু এখন আবার দেশে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে থাকা তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে গড় দৈনিক সংক্রমণ ১ লক্ষ ৩৫ হাজার। সংক্রমণ হারে দেশে প্রথম স্থানে লুইজ়িয়ানা। দ্বিতীয় ফ্লরিডা। গত শুক্রবার এক দিনে ফ্লরিডায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ লক্ষ ৫১ হাজার ৪১৫ জন। হোটেজ় বলেন, ‘‘পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। আক্রান্তদের বেশির ভাগই অল্পবয়সি।’’
আলাবামায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ছোটদের সংক্রমণ। আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ ডেভিড কিম্বারলিন বলেন, ‘‘দেশে অতিমারি যখন শীর্ষ ছুঁয়েছিল, তখনও এ রকম অবস্থা দেখিনি। ছোট ছোট বাচ্চা, ভয়ানক দুর্বলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। অনেকেরই প্রবল শ্বাসকষ্ট।’’