দক্ষ শ্রমিকের অভাবে ভুগছে জাপান। ছবি- এএফপি
কাজের বাজার আছে। অথচ, চাহিদা মতো লোক নেই। তাই, জাপানি সংস্থাগুলির কপালে ভাঁজ পড়েছে। হন্যে হয়ে তারা খুঁজে বেড়াচ্ছে কাজের লোক। এমনকী, সিনিয়র সিটিজেনরা যদি কাজ করতে আগ্রহী হন, তাতেও তাদের অসুবিধা নেই। উৎপাদন বাড়াতে যেন তেন প্রকারে এ ভাবেই শ্রমিক খুঁজছে জাপানের ছোট-বড় সব কোম্পানিই।
আরও পড়ুন- জলবায়ু চুক্তি ছেড়ে বেরিয়ে ভুগতে হবে আমেরিকাকেই: ওবামা
বিশ্বের তৃতীয় বড় অর্থনীতির দেশ জাপান। প্রযুক্তির দিক থেকেও প্রথম সারিতে। সেই দেশ এই মুহূর্তে ভুগছে চরম শ্রম সঙ্কটে। জাপানে যে পরিমাণ কাজের বাজার রয়েছে, সে তুলনায় শ্রমিক নেই। সম্প্রতি কর্মসংস্থান বিষয়ে একটি সরকারি তথ্যে প্রকাশ, এপ্রিল মাসে প্রতি চাকরি প্রার্থীর জন্য ১.৪৮ চাকরির সুযোগ রয়েছে। অর্থাত্ ১০০ জন চাকরি প্রার্থী কাছে ১৪৮টি কাজ সব সময়ের জন্য মজুত রয়েছে। মার্চে এটি ছিল ১.৪৫।
শেয়ার সূচক নিকি সর্বোচ্চ রেকর্ড করে সোমবার। ছবি- এএফপি
সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, ৪০ বছরে জাপানের এমন শ্রম সঙ্কট এর আগে দেখা যায়নি। যদিও চলতি বছরের এপ্রিলে জাপানে বেকারত্ব ছিল মাত্র ২.৮ শতাংশ। ১৯৯৪-এর পর এটাই সর্বনিম্ন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিনের পর তৃতীয় স্থানে রয়েছে জাপানের অর্থনীতি। মন্থর গতি হলেও জাতীয় আয় বেড়েছে। শুক্রবার, দেশের শেয়ার সূচক নিকি ২০১৫-র পর ২০ হাজার পয়েন্টে সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছয়।
তবে, এত কিছুর পরেও অশনি সংকেত দেখছেন অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা। দেশের উত্পাদন ক্ষেত্রে দক্ষ এবং তরুণ শ্রমিকের ঘাটতি যে ভাবে দেখা দিয়েছে, তা বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে তাঁদের মত। কারণ, দেশে জনসংখ্যার হার কমছে। ২০১৫-র আদমসুমারি অনুযায়ী, জাপানের মোট জনসংখ্যা ১২ কোটি ৭১ লক্ষ। সমীক্ষা বলছে, গত পাঁচ বছরে প্রায় ১০ লক্ষ জনসংখ্যা কমেছে। যে হারে জনসংখ্যার হার কমছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট বলছে, এই শতাব্দীর শেষে প্রায় ৮০ লক্ষের মতো জনসংখ্যা কমবে জাপানে।