তুরস্কে একটানা ২০ বছরের রাজত্ব। কিন্তু সেই ক্ষমতা কি এ বার আর ধরে রাখতে পারবেন প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইপ এর্ডোয়ান? ফাইল ছবি।
তুরস্কে একটানা ২০ বছরের রাজত্ব। কিন্তু সেই ক্ষমতা কি এ বার আর ধরে রাখতে পারবেন প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইপ এর্ডোয়ান? বছরের গোড়ায় ভূমিকম্পে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশটি। হাজার হাজার মৃত্যু, লাখো মানুষ ঘরহীন, প্রকাশ্যে এসেছে সরকারের ঘরের বহু দুর্নীতি, বেপর্দা হয়ে গিয়েছে প্রশাসনের ব্যর্থতা। এই প্রেক্ষাপটে শুরু হয়েছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। গত কাল প্রথম দফার ভোটে এর্ডোয়ান ও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিজদারোগলু-র মধ্যে কেউই ৫০ শতাংশের চৌকাঠ পেরোতে পারেননি, নির্বাচনে জেতার জন্য যা কি না আবশ্যিক ছিল।
২০০৩ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এর্ডোয়ান। তার পর ২০১৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। সেই থেকে দেশের দায়িত্বভার তাঁর হাতে। গত কাল, অর্থাৎ রবিবার ছিল প্রথম দফার ভোট। এই ভোটে এর্ডোয়ান ও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কিলিজদারোগলু-র মধ্যে যদি কোনও এক জন ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেতেন, তা হলে দ্বিতীয় দফার ভোট এড়ানো যেত। কিন্তু তা হয়নি। এর্ডোয়ান পেয়েছেন ৪৯.৩৯ শতাংশ ভোট। কিলিজদারোগলু পেয়েছেন ৪৪.৯২ শতাংশ ভোট। দ্বিতীয় পর্বের ভোট হবে ২৮ মে।
ভোট পূর্ববর্তী সমীক্ষাগুলিতেও বলা হয়েছিল, এ বারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জোরদার লড়াই হবে। ছ’টি রাজনৈতিক দলের জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কিলিজদারোগলু। তাঁকেই সামান্য ভোটে এগিয়ে রেখেছিল সমীক্ষাগুলি। সেই হিসেবে দেখতে হলে সমীক্ষা রিপোর্টের তুলনায় ভাল ফল করেছেন এর্ডোয়ান। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এর্ডোয়ান ও কিলিজদারোগলু ছাড়াও আরও এক জন এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তিনি তৃতীয় প্রতিযোগী সিনান ওগান, মাত্র ৫.৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। কিন্তু হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে তিনিই হয়তো শেষমেশ ঠিক করবেন, কে হবেন ‘রাজা’।