ইজ়রায়েলে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চালানোর ‘অপরাধে’ ইরানকে শাস্তি দিতে সক্রিয় হল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইউ)। বুধবার রাতে ইউরোপের ২৭টি দেশের ওই সংগঠনের বৈঠকে তেহরানের উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ওই বৈঠকের পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সভাপতি চার্লস মাইকেল বলেন, ‘‘আমরা মনে করি, বর্তমান পরিস্থিতিতে ইরানকে একঘরে করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’’ তিনি জানান ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার মূল নিশানা হবে সে দেশের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণে যুক্ত সংস্থাগুলি।
গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) মধ্যরাতে ইজ়রায়েলে প্রায় ২০০টি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান সেনা। যদিও আমেরিকা এবং জর্ডনের মতো দেশের সহায়তায় শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থার সাহায্য প্রায় ৯৯ শতাংশ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিহত করে ইজ়রায়েল। ফলে বিশেষ ক্ষয়ক্ষতির ঘটেনি। প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ইরানি দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র বিমানহানা চালিয়েছিল ইজরায়েল। তাতে নিহত হয়েছিলেন ইরানের কয়েক জন কূটনীতিক ও সামরিক প্রতিনিধি। তারই ‘জবাব’ দিতে শনিবার রাতে হামলা চালানো হয় বলে তেহরানের দাবি।
তেল আভিভের নিরাপত্তায় নিজেদের প্রতিশ্রুতির কথাও জানিয়েছেন মাইকেল-সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। পাশাপাশি তাঁরা লেবানন-সহ পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন পক্ষকে উত্তেজনা প্রশমনে সক্রিয় হওয়ায় অনুরোধ জানান। প্রসঙ্গত, গত রবিবার থেকে লেবাননে ঘাঁটি থেকে ইরানপন্থী শিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লা উত্তর ইজরায়েলের বিভিন্ন জনপদ ও সেনাঘাঁটিতে দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ।