টুইটার কেনার মাসখানেকও মধ্যেই সংস্থার অর্ধেক কর্মীকে বরখাস্ত করেছেন নতুন মালিক ইলন মাস্ক। ছবি: রয়টার্স।
টুইটারের অর্ধেক কর্মী ছাঁটাইয়ের পরে সপ্তাহখানেকও কাটেনি। আবার সংস্থায় কর্মীছাঁটাই শুরু করতে পারেন নতুন মালিক ইলন মাস্ক। সোমবারই এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করতে পারেন তিনি। রবিবার এমনই দাবি করেছে আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ।
ব্লুমবার্গের দাবি, টুইটারের সেলস এবং পার্টনারশিপ বিভাগে কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা চিন্তা-ভাবনা করছেন মাস্ক। ওই দুই বিভাগের প্রধানেরা যাতে মাস্কের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করেন, সে বার্তাও পৌঁছে গিয়েছে তাঁদের কাছে। যদিও মাস্কের কথা মেনে নিজের বিভাগের কর্মীদের কাজ থেকে সরাতে রাজি হননি সেলসের বিভাগীয় প্রধান রবিন হুইলার। একই পথে হেঁটেছেন পার্টনারশিপের প্রধান ম্যাগি সানিউইক। তার জেরেই তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন মাস্ক।
মাস্কের এই সিদ্ধান্তে টুইটারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ। কারণ, জনসংযোগ বিভাগটিই যে উড়িয়ে দিয়েছেন মাস্ক!
প্রসঙ্গত, এক মাসও হয়নি ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার খরচ করে টুইটার কিনেছেন টেস্লা-কর্তা মাস্ক। এর পরেই মাইক্রো-ব্লগিং সাইটটির কর্মী সঙ্কোচন করতে শুরু করেন তিনি। সংস্থার সিইও পরাগ আগরওয়াল-সহ ৩ শীর্ষকর্তার পর ৭,৫০০ কর্মীর অর্ধেককে সরিয়ে দিয়েছেন মাস্ক। যে পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তর সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। যদিও মাস্কের দাবি, টুইটারের লোকসানের পরিমাণ কমাতে এই পদক্ষেপ তাঁর। এর পর বাকি কর্মীদের কড়া অনুশাসনে বাঁধতে চেয়েছেন মাস্ক। সংস্থার শর্ত মেনে সপ্তাহে ৮০ ঘণ্টা কাজ না করলে বাইরের রাস্তা খোলা রয়েছে বলে চরম হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। বস্তুত, মাস্কের হুঁশিয়ারির জেরেই নাকি টুইটারের ১,২০০ জন ইস্তফা দিয়েছেন বলে দাবি।