সুপারবোলের ম্যাচ নিয়ে টুইট করে নাকি আশানুরূপ সাড়া পাননি খোদ টুইটকর্তা। ছবি: সংগৃহীত।
সুপারবোলের রবিবাসরীয় ম্যাচ নিয়ে টুইট করলেও তাতে আশানুরূপ সাড়া পাননি খোদ টুইটকর্তা। তা নিয়ে বেজায় অখুশি ইলন মাস্ক। টুইটারের জটিল অ্যালগরিদম-এ বদল ঘটানোর নির্দেশের পাশাপাশি সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারদেরও ছাঁটাইয়ের হুমকি দিয়েছেন তিনি। এমনই দাবি করেছে আমেরিকার সংবাদমাধ্যমগুলি।
রবিবার ফিলাডেলফিয়া ঈগলসের মুখোমুখি হয়েছিল ক্যানসাস সিটি চিফস। আমেরিকার ফুটবলের দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর জমজমাট খেলা নিয়ে টুইট করেছিলেন মাস্ক। ঘটনাচক্রে, দু’জনেই ঈগলসের সমর্থক এবং মাস্কের মতোই ওই দলের পক্ষ নিয়ে টুইট করেছিলেন বাইডেন।
সমাজমাধ্যমে নিয়মিত যাতায়াতকারী জোয়ি শিফার এবং ক্যাসি নিউটনের দাবি, বাইডেনের (৩.৭ কোটি ফলোয়ার) তুলনায় বেশি ফলোয়ার (১২.৯ কোটি) থাকলেও মাস্কের টুইট দেখেছেন ১.১৬ কোটি টুইটার ব্যবহারকারী। অন্য দিকে, বাইডেনের টুইটে ‘ভিউ’ ২.৯ কোটি। এর পরেই নাকি চটেছেন টুইটারকর্তা। সোমবারের মধ্যে টুইটারে জটিল অ্যালগরিদম (যন্ত্রমেধার প্রযুক্তি)-তে বদল ঘটিয়ে বেশি সংখ্যকের কাছে তাঁর টুইট পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মাস্ক। এমনই দাবি করেছে আমেরিকার সংবাদমাধ্যমগুলি। অবশ্য টুইটারের অ্যালগরিদমের যে বদল ঘটানো হচ্ছে, তা নিয়ে মাস্ক স্বয়ং রসিকতাভরা একটি টুইট করেছেন। লিখেছেন, ‘‘অ্যালগরিদমে যত ক্ষণ না অদলবদল আনা হয়, তত ক্ষণ পর্যন্ত অনুগ্রহ করে আমাদের সঙ্গে থাকুন।’’
আমেরিকার সংবাদমাধ্যমগুলিতে দাবি, অ্যালগরিদমের অদলবদলের কাজ দেখতে সান ফ্রান্সসিসকোয় টুইটারের সদর দফতরে হাজিপর হন মাস্ক। এর পর নিজের টিমের কাজও খতিয়ে দেখেন। মাস্কের নির্দেশের পরেই নাকি তাঁর টুইটটি ফিল্টার করা থেকে বাদ দেওয়া হয়। যাতে তা বেশি সংখ্যকের কাছে পৌঁছয়।