Rocket Attack in Pakistan

পাকিস্তানের পঞ্জাবে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে রকেট হামলা, নিহত অন্তত ১১ জন

পুলিশের উপর হামলায় স্থানীয় দুষ্কৃতীদলের হাত দেখছে প্রশাসন। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ হামলার ঘটনার নিন্দা করার পাশাপাশি ওই এলাকায় দুষ্কৃতীদের দমনে কঠোর পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৪৪
Share:

পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে আততায়ীদের হামলায় প্রাণ গেল অন্তত ১১ জন পুলিশ আধিকারিকের। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাত জন।

Advertisement

পাকিস্তানের সংবাদপত্র ‘ডন’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, বৃহস্পতিবার পঞ্জাব প্রদেশের মচকা এলাকায় তল্লাশি অভিযানে বেরিয়েছিল পুলিশের একটি কনভয়। কনভয়ে থাকা দু’টি পুলিশভ্যান রহিম ইয়ার খান জেলা থেকে ফিরছিল। কিন্তু সেগুলি খারাপ হয়ে যাওয়ায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে। সেই সময়েই অতর্কিতে রকেট হামলা চালানো হয়।

এই ঘটনার নেপথ্যে স্থানীয় দুষ্কৃতীদলের হাত দেখছে প্রশাসন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ হামলার ঘটনার নিন্দা করার পাশাপাশি ওই এলাকায় দুষ্কৃতীদের দমনে দ্রুত এবং কঠোর পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছেন। ঘটনার নিন্দা করেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তথা নওয়াজ শরিফের কন্যা মরিয়ম নওয়াজও। অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

পঞ্জাব পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। তিনি আরও জানিয়েছেন, হামলার পরেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান আততায়ীরা। তড়িঘড়ি আহত পুলিশ আধিকারিকদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম, পঞ্জাব পুলিশের আইজি উসমান আনওয়ারকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেন এবং দুষ্কৃতীদলের দ্বারা অপহৃত পুলিশ আধিকারিকদের মুক্তির বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে বলেন।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের পূর্ব পঞ্জাব এবং দক্ষিণ সিন্ধ অঞ্চলে দুষ্কৃতীদলের বাড়বাড়ন্ত সে দেশের প্রশাসনের কাছে দীর্ঘ দিন ধরেই মাথাব্যথার কারণ। মূলত গ্রাম এবং জঙ্গলে ঘেরা এলাকায় দুষ্কৃতীরা লুকিয়ে থাকে। এই দলের বিরুদ্ধে লুটপাট, ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। গত কয়েক বছরে পাকিস্তানের সেনার বিরুদ্ধে একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু একটি হামলায় এত জন পুলিশ আধিকারিকের মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement